বিজয় দিবস-পূর্ব বুদ্ধিজীবী নিধন: আজকের প্রশ্ন
সিডনীর কথামালা-৫৫
রণেশ মৈত্র (সিডনী থেকে)
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ
E-mail:raneshmaitra@gmail.com
সে দিন ছিলাম পশ্চিম বাংলার নদীয়া জেলার করিমপুররে স্থাপিত ন্যাপ-কমিউনিষ্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ যুবশিবিরের প্রাত্যহিক পরিচালক হিসেবে প্রাত্যহিক দায়িত্ব পালনেব্যস্ত। আরও ব্যস্ত এ কারণে যে সন্ধায় রওনা হয়ে যেতে হবে কোলকাতার পথে পথমে করিমপুর থেকে বাসে কৃষ্ণনগর। অত:পর সেখানর থেকে ট্রেনযোগে শিয়ালদহ ষ্টেশনে। আবার সেখান থেকে ট্রাম বা ট্যাকিসযোগে গড়িয়ায় ছোট ভাই পরেশের বাড়ীতে রাস্তাটা কাটানোর উদ্দেশ্য। তারিখটি ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১।
কলকাতায় যেতে হবে পার্টি নেতৃত্বের ডাক পেয়ে। তাঁরা ডেকেছেন কোন জরুরী ব্যাপার-অবশ্যই চলমান মুক্তিযুদ্ধ সংμান্ত ব্যাপারে। তাই সেদিন ১৪ ডিসেম্বর বাকী দু’দিনের (দু’দিনের প্রস্তুতি নিয়ে যেতে বলেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলতাফ হোসেন অথবা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ – দলীয় সভাপতি) তাবৎ ব্যবস্থাদি করে রেখেই রওনা হতে হবে।
যুব শিবিরটির অবস্থার তখন সূচনার চাইতে অনেক ভাল। অনেকেই পাঠানো গেছে অস্ত্রপ্রশিক্ষণে বেশ কয়েক দফায় আবার বেশ কিছু রয়ে গেছে অপেক্ষমান। আবার অনেককে, প্রশিক্ষণ থেকে ফিরে আসার পর অস্ত্র দিয়ে দেশের ভেতরে পাক-বাহিনী ও তাদের দোসরদের হত্যার ও অপরাপর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এভাবে সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় বিশাল কর্মযজ্ঞ যা নয়মাস ব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের চালাতে হয়েছে তা স্পষ্ট করে তোলা সম্ভব নয়। কিন্তু যেহেতু এই নিবন্ধের বিষয় বস্তু ভিনড়ব তাই সংক্ষিপ্ত ধারণা দিয়ে পরিস্থিতি বুঝতেই প্রয়াসী হয়েছি।
আমি ছিলাম তখন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ওয়ালি মোজাফ্ফর) পাবনা জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। সাধঅরণ সম্পাদক ছিলেন প্রয়াত সাইফুল ইসলাম(সিরাজগঞ্জ)। কিন্তু তিনি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতেই মওলানা ভঅসানীর আহ্বানে তাঁর সাথে নৌকাপথে আসামের করিমগঞ্জ গিয়ে ভারত সরকারের ব্যবস্থাপনায় মওলানা ভাসানীর সহকারী হিসেবে তাঁর সাথেই রয়ে যেতে বাধ্য হন-তাই ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে ঐ নয়মাস মুজিবনগরে আমাকেই দায়িত্ব পালন করতে হয় আর সেই সুবাদে আমি দু’তিনজন ছাত্র ইউনিয়ন নেতাসহ করিমপুরে পাবনা জেলার ন্যাপ সিপিবির ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীর রিμুট করার দায়িত্ব পালন করি। পরবর্তীতে মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গীতে ন্যাপনেতা হালিম চৌধুরী পাবনা জেলার দ্বিতীয় যুবশিবির গড়ে তুলে তার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন।
যা হোক, নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী ঐদিন রাতে কলকাতা পৌঁছে পার্টি কার্য্যালয়ে যাওয়ার সময় করে ওঠা গল না। সেগলাম পরদিন অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ১১টার দিকে। দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক তখনও এসে পৌঁছান নি। তাঁদের অপেক্ষায় অনেকেই এসেছেন যার মধ্যে কলকাতার ও ভারতে নানা অঞ্চল থেকে প্রকাশিত খ্যাতনামা ইংরেজী ও বাংলা পত্রিকা ও বেতারের সাংবাদিকেরাও ছিলেন।
যা হোক, বসে গল্পগুজব চালানো কালে জানলাম পরদিন অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি যশোরের মুক্তাঞ্চলে প্রম জনসভার আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে। পরে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদও অফিসে এসে তাই জানালেন। বললেন অফিসের সামনে বাস থাকবে দুটি। তার যে কোন একটিতে আমিও যেন সবার সাথে যশোর যাই-জনসভাতে।
যশোরের পতন ঘটেছে সপ্তাহ খানেক আগেই এবং তার পর পরই যশোরে আওয়ামী লীগ প্রম জনসভাটিও করে এসেছে। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশের প্রম প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ।
যশোরে জনসভা করতে যাওয়ার খবরে বেশ আবেগপ্লোত হয়ে গড়তে হলো এবং স্বাভাবিক ভাবেই নিদির্ষ্ট সময়ে রওনা হওয়ার প্রতীক্ষায় কাটলো সারাটা দিন ও রাত।
পরদিন যথারীতি ঠিক সময়মতো এসে পৌঁছোলাম ন্যাপের কেন্দ্রীয় কার্য্যালয়ে। দলবলে সাংবাদিকরাও (ফটো সাংবাদিক সহ) এসে পৌঁছেছেন। আরও এসেছেন দলীয় কর্মী নেতারা।
সবাই বাসে উঠে বসতেই কয়েকজন ঐ দিনের অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বরের কোলকাতার বিভিনড়ব পত্রিকা কিনে এসেছেন। তাতে বড় বড় অক্ষরে লেখা শিরোনামে বুদ্ধিজীবী নিধনের মর্মান্তিক খবর। এ খবর নিশ্চয়ই আগের দিন বিবিসি ও আকাশবানীসহ নানা ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যমও প্রচার করেছে। কিন্তু আমি তা শুনতে পাই নি। তবে যশোর যাওয়ার জন্য বাসা থেকে রওনা হওয়ার সময় আমার মূল্যবান সম্পত্তি এক ব্যান্ডের পকেট রেডিওটি এনেছিলাম।
পত্রিকাগুলিতে ঐ দুঃসংবাদের খবর থাকায় অনেকেই নেমে নিকটস্থ সংবাদপত্র বিক্রয় কেন্দ্র থেকে আরও অনেকগুলি পত্রিকা কিনে
ফেললেন-কিনলাম আমিও।
বিষাদাচ্ছনড়ব হয়ে পড়লাম গাড়ীর সকল যাত্রীই। পত্রিকাগুলিতে আরও খবর ছিলো বড় বড় হরফে তাতে উল্লেখ ছিলো”পাকিস্তানীদের আত্মসমার্পণ এবং বাংলাদেশের বিজয় এখন সময়ের ব্যাপারে মাত্র”। কিন্তু এত বড় আনন্দের খবর ছাপিয়ে ঐ বুদ্ধিজীবী নিধনের খবরটিই যেন সবার মনে প্রাধান্য বিস্তার করে ফেলেছিল। অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী সহ মাত্র ৪/৫ টি নামের উল্লেখ করে ঐ খবরে বলা হয়েছিলো “আরও অনেক আছে এই শহীদের তালিকায়”। তাতে যেন শংকা আরও অনেক বেড়ে গেল। বিজয় আনন্দ তখন আমাদেরকে আচ্ছনড়ব করতে পারে নি।
বেদনার্ত মন নিয়েই সবাই রওনা হলাম যশোর অভিমুখে। এই বেদনা যে মূল বিজয়ের বেদনাকেও এভাবে ছাপিয়ে উঠে সকলের মনকে গ্রাস করতে পারলো-আজ ৪৫ বছর পরে এসে তা যেন অনেকটাই অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়।
বুদ্ধিজীবীদের অমন নির্মম মৃত্যু বিদেশী সাংবাদিকদেরকেও বেদনার্ত করে তুলেছিল বেদনার্ত সমভাইে হতে দেখলাম সঙ্গী কয়েকজন ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টির নেতাকে এবং বাংলাদেশ সহায়ক সমিতির নেতৃবৃন্দকেও। এঁবারও গভীর আগ্রহ নিয়ে আমাদের যশোরের ন্যাপের জনসভা খোর গভীর আগ্রহ নিয়ে সহযাত্রী হয়ে চলছিলেন বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চলে। উল্লেখ্য, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এঁদের বহুমুখী অবদান বাঙালি জাতিকে তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছিল যদিও দিব্যি আজ আমরা তা ভুলে গিয়েছি বহুলাংশেই।
একটু পেছন ফিরে তাকালাম। স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে উঠল মার্চের গোড়া থেকেই বঙ্গবন্ধু আশুত “অসহযোগ আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত চিত্র। সে চিত্রও কম আনন্দের নয়। হাজার হাজার মানুষের দৈনন্দিন শান্তিপূর্ণ মিছিল অফিস-আদালত-ব্যাংক-কলকারখানা-যানবাহন সবই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বন্ধ। বন্ধ স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও। পাকিস্তানের সামরিক সরকার এবং সামরিক আইন সব কিছু অচল হয়ে পড়েছিল-সেগুলোকে অবজ্ঞা-অমান্য-অগ্রাহ্য করেই চলছিলো আসহযোগ আন্দোলন। আমি এখানে পাবনার কথা বলছি।
সেই প্রবল এবং অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনে সমগ্র বাংলাদেশই মুখরিত ছিল। ছিল জনতার চোখে-মুখে এক দারিদ্র্যমুক্ত, বেকারত্বমুক্ত, সমৃদ্ধশালী, শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতির দিকে অগ্রসরমান বাংলাদেশ অর্জনের এক সোনালী স্বপড়ব।
কিন্তু পশুতুল্য পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী ও তাদের সরকার বাঙালি জাতিকে ঠন্ডা করার মতলবে তাদের শেষ চেষ্ট হিসেবে ২৫ মার্চ গভীর রাতে বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলা শহরে তাদের সশস্ত্র ইউনিটগুলিকে পাঠায়। পাবনাতে তাদের কতিপয় কর্মকর্তাসহ ২০০ জন সেনাসদস্যকে পাঠায়। তার গভীর রাতে ঘুমন্ত পাবনা শহরে ঢুকে নানা জায়গায় ঘাঁটি গাড়ে-প্রধান ঘাঁটিটি বানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশাল এলাকাজুড়ে। বোর্ডের সকল দালান কোঠাও তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। একটি হল ঘরে স্থাপন করে টর্চার কক্ষ।
সামরিক বাহিনী এসে সকল টেলিফোন সংযোগ ঐ রাতেই বিচ্ছিনড়ব করে দেয় সরকারীবেসরকারী নির্বিশেষে। তখন তো মোবাইলফোনের আবিস্কার বা আমদানী হয় নি। তাই লোকমারফত ছাড়া যোগাযোগের আর কোন মাধ্যম ছিল না। তারা পাবনায় টেলিফোন ভবনটাকেও দখল করে নেয় এবং সেখঅনে আধুনিক অশ্র সজ্জিত ২৮ জন সৈন্য ও কর্মকর্তাকে সেখানে পোষ্টিং দেয় সর্বক্ষণের জন্য।
যা হোক, আমাদের সাহসী তরুণেরা ২৬ তারিখ সকাল থেকে গোপনে বাড়ী বাড়ী গিয়ে লাইসেন্সসহ বা লাইসেন্স বিহীন সকল আগেড়বয়াস্ত্র সংগ্রহ করে সেনাবাহিনীর আরোপিত অনির্দিষ্ট কালের সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে।
ঐ দিন সন্ধ্যায় তারা গ্রেফতার করে পাবনার আওয়ামীলীগ দলীয় এমপিএ এডভোকেট আমিন উদ্দিন, ভাসানী ন্যাপ নেতা দন্তচিকিৎসক অমলেন্দু দাক্ষীসহ নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃস্থানীয় অনেক।
২৭ মার্চ তারা পুলিশ লাইন আμমণ করে অতর্কিতে পুলিশের অস্ত্রভা-ার দখলে নিয়ে অবাধ্য পুলিশকে নিরস্ত্র করার লক্ষ্যে। কিন্তু পূর্বেই প্রতিরোধ বাহিনী (তরুণ-পুলিশ-আনসারসহ) খবর পেয়ে যে প্রতিরোধ ব্যূহ রাচনা করে-তার ফলে পাক-সেনারা পুলিশ লাইন পর্য্যন্ত পৌঁছাতেই পারে নি-প্রাণ নিয়ে ট্রাকে করেই পালিয়ে যায়। বিজয় সূচিত হয় পাবনার মাসুষের।
পরদিন একইভাবে প্রতিােধ বাহিনী আμমণ করে টেলিফোন ভবণে অবস্থানরত সৈন্যদেরকে এবং ঘন্টা কয়েক তীব্র গোলাগুলির পর পাক-সেনাদের গোলা বারুদ নিঃশেষ হওয়ায় তাদের সকলকেই প্রতিরোধ যোদ্ধাবীর দরুণীরা হত্যা করে পাবনার জনগণের জন্য দুলর্ভ দ্বিতীয় বিজয়ের সূচনা করে।
এভাবে একের পর এক বিজয়ের সূচনা হয়। ২৯ তারিখ সকালে তারা নাটোর সেনানিবাস থেকে সাদা পোষাক পরিধান করে সাদা পতাকা উড়িয়ে দিয়ে মুখে “জয় বাংলা” শ্লোগান দিয়ে বিভ্রান্তি রচনা করে মূল ঘাটিতে এসে তাঁদের ট্রাকগুলিতে অবশিষ্ট পাক-সেনাদেরকে তুলে নিয়ে নাটোরের েিক রওনা হলে তাদের ষড়যন্ত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। ফলে সহসাই পথের নানা স্থঅনে অসংখ্য ব্যারিকেড স্থাপন হয় এবং খন্ড খন্ড লড়াই এ মত্ত হয় আমাদের তরুণ সমাজ। শেষ পর্যন্ত পাক-বাহিনীর ২০০ জন সদস্যই নিহত হয়। সূচিত হয়ে এক অসাধারণ বিজয়ের।
কিন্তু মূলঘাঁটি থেকে যখন ঐ বাহিনী ট্রাকে উঠছিল তার আগমুহুর্তে তারা জননেতা আমিনুদ্দিন এমপিএ ডা. অমলেন্দু দাক্ষী, ব্যাবসায়ী আবু সাঈদ, একজন শিক্ষক প্রমুখকে নির্মমভাবে হত্যা করে রেখে যায়।
তাই এডভোকেট আমিনুদ্দিন, ডা. অমলেন্দু দাক্ষী, মওলানা কছিম উদ্দিন ও শিবাজীবাবু সহ বেশ কয়েকজন পাবনার বুদ্ধিজীবীকে তারা মুক্তিযুদ্ধের সূচনাতেই হত্যা করে। স্থানীয় ঐ বিজয়কেও, সামরিকভাবে হলেও, বেদনার্ত করে তোলে বুদ্ধিজীবী নিধনের মাধ্যমে।
আজ ৪৫ তম বিজয় দিবসের প্রাক্কালেও নতুন করে ব্লগার, বিদেশী; পুরোহিত, হিন্দু ও সাঁওতালদের যে নির্মম হত্যালীলা দেখি তাতে অবশ্যই দায়ী করা যায় বুদ্ধিজীবী ও বাঙালী হত্যযজ্ঞ আজও অটুট রয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন রাষ্ট্র কি বলবেন এই বিজয়ের দিবসে? বন্ধ হবে কি নিধন যজ্ঞ। হত্যাকারীরা কি শাস্তি পাবে?
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।