শাহিন মামুন এর কবিতা-আযান
আযান
শাহিন মামুন
আমি তো পাগল হয়ে যাই সেই সুমধুর সুরে
যখন ভেসে আসে মসজিদের মিনারের মাইক হতে
প্রতি ওয়াক্তেই মোয়াজ্জিনের কন্ঠে আযানের ধ্বনি।
আমি পাপী শত কাজের ভীড়েও ছুটে চলি
ঐ ইটের প্রাচীরে ঘেরা মসজিদ নামক পবিত্র ঘরে
তুমি প্রভু আল্লাহর দয়া আর রহমতের খোঁজে।
নামাজ করি আদায় তোমার কুদরতী পায়ের মাঝে
আমি পাপী তোমাকে নিরাকার ভেবে।
আমি পাপীর পাপের ভারে অশ্রু সদা ঝড়ে
তুমি দয়া করলেই প্রভু আমার মুক্তি মেলে।
পাপে পাপে জর্জরিত আমি পাপীর জীবন
তাই পাপের ভারে আমি পাপীর বেহেস্ত নাহি জুটে।
বয়স আমার বাড়ছে যতো আয়ূ কমছে ততো
পাপ-পূণ্যের হিসাব করে দেখি আমি শুধু
পাপের মাঝে পূণ্য নাহি আমার জীবনে কিছু।
জন্ম থেকেই করছি পাপ, পাপে নাহি ছাড়ে
জাহান্নামের দরজাখানি দিও বন্ধ করে
আমি পাপীর তরে কাল কিয়ামতের দিনে।
তুমি আল্লাহ হবে জজ আর ব্যারিস্টার মুহাম্মদ (সঃ)
তুমি আদেশ দিও তারে সে যেনো হয় জামিনদার
আমি পাপীর তরে শেষ বিচারের দিনে।
আমি পাপী হয়েছি মুসলিম হইনি তো ইমানদার
পাপের মাঝেই আমি পাপীর অর্ধেক জীবন ত্রিশ বছর পার।
আযান হয়েছে মসজিদের মিনারে প্রতিদিন পাঁচবার
আমি পাপী মসজিদ মুখি হইনি তো একবার।
তোমায় ভুলে আমি পাপী মজেছিলাম সদা
মদ-গাজা আর নারীর মাঝে,
পাপের ভারে পড়ে বুঝলাম অবশেষে
আমি পাপীর ষোল আনার জীবন থেকে
আট আনাই চলে গেছে।
মাফ করে দাও তুমি প্রভু আমি পাপীকে
বাকি জীবন কাটে যেনো আমি পাপীর
কালেমা-নামাজ-রোজা- হজ্জ আর যাকাতের মাঝে।
যেদিন আমি পাপী থাকবো না আর তোমার দুনিয়ার বুকে
বিদায় বেলায় দিও মুখে তুমি তোমার কালেমা খানি তুলে।
কবর যেনো হয় আমার ঐ মসজিদেরই পাশে
যেনো গোরেও থেকে আমি পাপী
মোয়াজ্জিনের আযান শুনি মসজিদের মিনার হতে প্রতি ওয়াক্তেই।