ঘাটাইলে দুই গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ২টি মামলা: আসামী ৪৫০
এম.এস.এস.সৌরভ, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার নাটশালা ও কাশতলা নামক গ্রামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এবং সংঘর্সের ফলে দুই গ্রামবাসী থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছেন ৷এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে । গত বুধবার সন্ধ্যায় হামিদপুর বাজারে সালিশী বৈঠকে হাঙ্গামার ঘটনা ঘটে এবং ভাঙচুর করা হয় দোকানপাট। উত্তেজনা ঠেকাতে আহত হয় ঘাটাইল থানার দুই পুলিশ সদস্য কনস্টেবল এরশাদ ও সুলতান। শেষ পর্যন্ত এ ঘটনায় দুই গ্রামবাসীর দুইজন বাদী হয়ে দুই গ্রামের ৪৫০ জনকে আসামী করে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করেছেন। এই দুই মামলার এজাহারভ’ক্ত ৪ আসামীকে আটক করেছে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতরা হল, কাশতলা গ্রামের জনি (২৮) ও রইজ উদ্দিন (৫০) নাটশালা গ্রামের নাজমুল হোসেন(২০) ও নাসির উদ্দিন (২৩)।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আমির হোসেন বলেন, ভাংচুর, মারপিট, চুরি ও লুটপাটের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুই গ্রামের দুই জন বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছেন। উপজেলার সালেংকা গ্রামের মোবারক আলী কাশতলা গ্রামের ২৪ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন। নাটশালা গ্রামের ২৭ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামী করে কাশতলা গ্রামের আরশেদ আলী অপর মামলাটি করেছেন।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন বলেন, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের নাটশালা ও দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামের কয়েক যুবকের সাথে মারামারি হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামবাসির মধ্যে কয়েক দিন যাবৎ উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ নিয়ে হামিদপুর বাজারে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ে গত বুধবার বিকালে হামিদপুর মাদ্রাসায় মাঠে দুই ইউনিযনের চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে উভয়ে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে শালিসী বৈঠক বসে। শালিস চলাকালিন সময়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মাদক নির্মূলের জন্য সবাই ঐক্যমত পোষন করেন । এরই মধ্যে দিগলকান্দি ও দিগর ইউনিয়নের জনৈক কয়েক ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষে সাফাই গেয়ে বক্তব্য দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। শালিশী বৈঠকে উত্তেজিত জনতা বাজারে দোকান পাটের উপর হামলা চালায় ও ভাংচুর করে।