গোপালপুরে ২০১ গম্বুজ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতার ঈদ সামগ্রী বিতরণ

 

মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

আসন্ন ঈদুল ফিতর উদ্যাপনে ধনীদের পাশাপাশি সমাজের অসহায় পরিবারের সদস্যদের মুখে তৃপ্তিমাখা হাসি ফুটাতে সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে গোপালপুরে বিভিন্ন এলাকার পাঁচ সহ¯্রাধিক দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান, বিশ্বখ্যাত ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট দক্ষিণ পাথালিয়া জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা, জনতা ব্যাংক গণতান্ত্রিক কর্মচারি ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ফেডারেশনের সভাপতি (সিবিএ) এবং জাতীয় শ্রমিকলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বীর-মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম।
গতকাল শনিবার সকালে প্রতি বছরের ন্যায় নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয়কৃত ঈদসামগ্রী হিসাবে শাড়ী, লুঙ্গী ও নগদ অর্থ উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়ার বিশ্বখ্যাত ২০১ গম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে অত্র এলাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আগত পাঁচ হাজারের অধিক সংখ্যক নারী, পুরুষ ও শিশুদের মাঝে এসব ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। তথ্যানুযায়ী জানা যায়, নির্মানাধীন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডভুক্ত সর্বোচ্চ মিনারের পৃথিবীর অদ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মসজিদ কমপ্লেক্সটি পৃথিবীর বুকে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টিকারি ঐতিহাসিক মসজিদ কমপ্লেক্স হিসাবে সুপরিচিতি লাভ করবে। এত বেশি সংখ্যক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ বিশ্বের আর কোথাও নেই। ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটির উদ্বোধনের সময় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন বলে জানান মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
মসজিদটির পাশেই আজান প্রচারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পাথরের তৈরী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম মিনার। যা পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে উঁচু ও অদ্বিতীয়। মিনারটির উচ্চতা হবে ৪৫১ ফিট বা ৫৭ তলার সমপরিমাণ। উঠা-নামার সুবিধার্থে মিনারটির ৫০তলা পর্যন্ত লিফ্ট চলাচলের সুব্যবস্থা থাকবে। ১৫বিঘা জমির উপর এই কমপ্লেক্সে আরো থাকবে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত মসজিদটিতে ফ্যান লাগানো হবে সহ¯্রাধিক। মোট গম্বুজের সংখ্যা হবে ২০১টি। মসজিদের ছাদের মাঝখানে থাকবে ২৫টি গম্বুজের সমপরিমাণ ৮১ফুট উচ্চতার ১টি বড় গম্বুজ এবং চারদিকে থাকবে ১৭ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ২০০টি গম্বুজ। মূল মসজিদের চার কোনায় ১০১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট চারটি মিনার থাকবে। পাশাপাশি আরও ৪টি মিনার থাকবে ৮১ফুট করে উচ্চতা বিশিষ্ট। ১৪৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪৪ ফুট প্রস্থ’র দ্বিতল বিশিষ্ট মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের দেয়ালে পিতলের উপর সারি সারি ভাবে অঙ্কিত থাকবে ৩০ পারার পূর্ণ পবিত্র কোরআন শরীফ। যে কেউ বসে বা দাঁড়িয়ে দেয়ালের অঙ্কিত কোরআন শরীফ পড়তে পারবেন। ৫০ মন পিতলের তৈরি নয়নাভিরাম মসজিদটির প্রধান দরজায় মহান আল্লাহর রাব্বুল আলামিনের নিরানব্বইটি নাম স্পষ্টাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে। নির্মাণাধীন মসজিদের কাজ ইতোমধ্যেই অধিকাংশ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে চলতি সালের শেষের দিকে পবিত্র কাবা শরিফের ইমাম ও বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি মোঃ আব্দুর রহমান মহোদয়ের ইমামতির মাধ্যমে মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।


  • কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!