এম এস ইসলাম এর কবিতা- একুশে আমার চেতনা
একুশে আমার চেতনা
এ/ম/এ/স/ই/স/লা/ম/আ/ক/শ
সেদিন ওদের কথা বার্তা ছিল নেহাৎ
স্বৈরাচারের মত
একের পর এক খোড়া যুক্তি দাঁড়
করাচ্ছিল অবিরত,
তা শুনে মনে হচ্ছিল পুরো
সিস্টেমটাতেই বুঝি গন্ডগোল
ওদের পুরো সরকারটাই সত্যিই হয়ে
গেছে বদ্ধ পাগল।
কখন কি বলে আর কখন কি করে নেই
তার ঠিক
ওরা দিকভ্রান্ত পথিকের মত ভুলে গেছে
দিক,
শাসনের নামে শোষন উন্নয়নের
জোয়ার মানে ভাষন
কথায় কি আর চিঁড়ে ভিজে ছিঁড়া
কাপড়ে হয়কি ফ্যাশন?
ওদের এক দশাসই নেতা মনের আবেগে
দিলেন ভাষন
সাথে সাথেই উনি পেয়ে গেলেন নানা
রংয়ের বিশেষন,
মানি না মানব না স্লোগানে মুখরিত
হলো সভা প্রাঙ্গন
আসলে সেটাই হলো শুরু ভিতে ধরল
অন্তহীন ভাঙ্গন।
ওরা বোঝেনি বাংলার মাহাত্ম্য, বাংলার
কি অহংকার
তাইতো ওরা খেলো মার বাংলার হাতে
বার বার,
বাংলা বাঙ্গালির ভাষা, বাংলা বাঙ্গালির
প্রিয় দেশ
বাংলা বাঙ্গালির অস্তিত্ব, বাংলা তাদের
অন্তরের আবেশ।
ভাষাকে আঘাত করে ওরা দিল অস্তিত্বে
ঝাঁকুনি
ছিঁড়ে গেল পূর্ব পশ্চিমের সেই বিনে
সুতার বাধন খানি,
তবুও ওদের হয়নি হুঁশ বারে বারে
খোঁজে কানাগলি
কথায় নয় এবার আঘাত হানে বেয়নেট
আর গুলি।
বাহান্নের ২১ শে ফেব্রুয়ারী হায়েনারা
করে চরম বাড়াবাড়ি
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে করে ওরা ১৪৪
ধারা জারি,
অতর্কিত হামলা চালায় নিরস্ত্র নিরীহ
জনতার মৌন মিছিলে
রঞ্জিত হয় রাজপথ বাংলার আকাশ
ছেঁয়ে যায় নীলে।
রফিক সফিক সালাম বরকতের রক্তে
ডাকে পদ্মা মেঘনার ঢল
হাজারো বাঙ্গালী নেমে আসে রাজপথে
করে দেয় সব অচল,
মা মাটি মাতৃভুমি আর প্রিয় মায়ের সেই
চিরচেনা ভাষার পালে
সেদিন লেগেছিল হাওয়া-সব মোহনা
গিয়েছিল একসাথে মিলে।