এখানে কেমিক্যালের কোনো অস্তিত্ব নেই, কোনো গোডাউনও ছিল না: শিল্পমন্ত্রী
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের এলাকায় কেমিক্যালের কোনো অস্তিত্ব নেই এবং কোনো গোডাউনও ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
তিনি বলেন, যেখানে ঘটেছে সেটা ছিল একটি রেস্টুরেন্ট। এটা হচ্ছে সিলিন্ডার ব্লাস্ট। ওই এলাকায় গ্যাস স্বল্পতা ছিল। হোটেলে সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহার করতো। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা কেমিক্যাল এরিয়া না, এখানে কেমিক্যালের কোনো অস্তিত্ব নেই, কোনো গোডাউনও ছিল না।
আজ দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসা বংশ পরম্পরা। এটাতো বন্ধ করা যাবে না। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। আমি পুরান ঢাকার মানুষ। আমি জানি।
নিমতলির ঘটনার প্রায় ১০ বছর পরও কেমিক্যাল গোডাউন সরানো গেলো না কেনো, এমন প্রশ্নর জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কি ভীনগ্রহ থেকে এসেছেন নাকি? আমরা কি ঢাকা শহর গুড়িয়ে দেবো?
তিনি বলেন, তারা (ব্যবসায়ীরা) যেতে চায় না। আমরা শিল্পনগরী গড়ে তুলছি। এটা দেখতে আরো ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে না। আমাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না।
আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল ব্যবসা বন্ধ হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। আমরা কাউকে উচ্ছেদ করবো না। তবে তাদের নির্দ্দিষ্ট এলাকায় নেওয়া হবে।
চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা একদমই ভিন্ন মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, নিমতলির ঘটনা আর চকবাজারের ঘটনা একদম ভিন্ন। এটা কেমিক্যাল সম্পর্কিত কিছুই না। সিলিন্ডার থেকে এটা হয়েছে। আমি সরেজমিনে দেখে এসেছি। দিস ইজ ডিফারেন্ট স্টোরি।
তিনি আরও বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। দেখবো আমাদের মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কিছু আছে কিনা।
উল্লেখ্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ- ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ওই এলাকায় থাকা একাধিক কেমিক্যাল গোডাউনের কারণে খুব দ্রুত আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের সময় ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, একটি সিএনজি বহনকারী পিকআপ ট্রাকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পরপরই পাশে থাকা গোডাউনের দোকানে আগুন লেগে যায়, ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭০ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। নিহতদের স্বজনদের নিকট লাশ হস্তান্তর শুরু হয়েছে।