এফবিআই’র হাতে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা গ্রেফতার মানি লন্ডারিং ও অবৈধ জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
মানি লন্ডারিং ও অবৈধ জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার অবৈধ আয়ের অভিযোগে এফবিআই’র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকান নেহাল রহিম (৪০)। তিনি যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন। নিউইয়র্ক থেকে টেক্সাসে বসবাস শুরুর পর রহিম তার নাম পরিবর্তন করে ‘নেহাল রে’ রেখেছিলেন। সেখানে সবাই তাকে ‘রে’ নামেই ডাকে।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে যুবলীগ নেতা রহিমের কমপক্ষে ২৫ বছরের সাজা হতে পারে। এমনকি তার সব অর্থ ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত হতে পারে। ইতিমধ্যে তার ব্যাংকে গচ্ছিত প্রায় এক লাখ ডলার এফবিআই জব্দ করেছে। মানি লন্ডারিং ব্যবসায় রহিমের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে এফবিআই। তাদের মধ্যে বেশকয়েকজন ব্যক্তি নিউইয়র্কে বসবাস করেন।
প্রায় এক মাস আগে রহিম এফবিআই’র হাতে গ্রেফতার হলেও এতদিন বাংলাদেশি কমিউনিটির কেউ জানতো না। স্থানীয় সময় শনিবার নিউইয়র্কের বাংলা সাপ্তাহিক ‘বাঙালী’ প্রধান শিরোনামে এক খবরটি প্রকাশ করার পর কমিউনিটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের রিফুরিও কাউন্টির উডসবরো’র হায়েরটিগস নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফেডারেল পুলিশ রহিমকে গ্রেফতার করে। পুলিশ উল্লেখ করেছে, ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক নেহাল রে ওরফে নেহাল রহিম। গ্রেফতারের পর ৮ মে তাকে করপাস ক্রিস্টির ফেডারেল আদালতে হাজির করা হয়।
এফবিআই গত বছর থেকে নেহাল রহিমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এবং তার অবৈধ জুয়ার ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। এর আগে কাউন্টি শেরিফ রহিমকে অবৈধ ব্যবসা বন্ধের জন্য সতর্ক করেছিল। কিন্তু তিনি সেই সতর্ক অবজ্ঞা করে অবৈধ জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করেন। এই জুযার ব্যবসা অনুসন্ধান করতে গিয়ে রহিমের বিরুদ্ধে বিদেশে অবৈধ অর্থ লেনদের অভিযোগ পায় এফবিআই। প্রায় এক মাস রহিমের অবৈধ জুয়ার ব্যবসা অনুসন্ধান করে এফবিআই জানতে পারে, শুধুমাত্র একটি উৎস থেকে প্রতিদিন ২ হাজার ডলার আয় হলেও রহিম তা প্রকাশ করছেন না।
এভাবে বিভিন্ন উৎস থেকে রহিম প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার ডলার অবৈধ আয় করতেন। পরে ওই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে পাঠিয়ে দেওয়া হতো মান্ডি লন্ডারিংয়ের অবৈধ লেনদেনে। হুন্ডির টাকায় বাংলাদেশে গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন রহিম। মানি লন্ডারিংয়ে নিউইয়র্কের কারা তাকে সহায়তা করতো এফবিআই তাদের নাম প্রকাশ করেনি।
অবৈধ জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা এবং আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেনের (মানি লন্ডারিং) মামলায় রহিমের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।