এবার মুখ খুললেন সাফাতের সদ্য ডিভোর্সি স্ত্রী!
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
জন্মদিনের পার্টির কথা বলে বনানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ‘ ধর্ষণের’ মামলার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে। মাসখানেক আগের এ ঘটনায় শনিবার বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা হয়।
আপন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী দিলদার হোসেন জানিয়েছিলেন, দুই বছর আগে টেলিভিশন উপস্থাপিকা পিয়াসাকে সাফাতের বিয়েটি তারা মেনে নেননি। পরে বউয়ের উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের কারণে ছেলে তাকে তালাক দেয়। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই উপস্থাপিকাই ষড়যন্ত্র করে ওই দুই মেয়েকে দিয়ে সাজানো মামলা করিয়েছে এবং মামলার সময় থানায় ঐ দুই তরুনীর সাথে পিয়াসা উপস্থিত ছিলো।
দিলদার হোসেনের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন দাবী করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিযুক্ত আসামী সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ওরফে লামিয়া আশা (২৫)। সাংবাদিকদের সাথে এই বিষয়ে আলাপকালে তিনি জানান, ‘মামলার সময় আমি থানায় উপস্থিত ছিলাম না, মামলা নিয়ে দিলদার হোসেন অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’
সাবেক শ্বশুরের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় পিয়াসা জানান, “চলতি বছরের ৮ মার্চ সাফাত বিনা কারণেই আমাকে ডিভোর্স করেছিল। তার দুই সপ্তাহ পার না হতেই তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সাফাত আমাকে বিয়ের আগেও একবার বিয়ে করেছিল।”
ক্ষুব্ধ কন্ঠে নিজের প্রতিক্রিয়ায় পিয়াসা জানালেন, “ওই মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হওয়ার সময়ও জানত না সাফাতের সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়েছে। তাই তারা আমার কাছেও অভিযোগ করেছিল সেসময় । তবে আমি এ ব্যপারে তাদের শুধু বলেছি আমার সাথে সাফাতের ডিভোর্স হয়ে গেছে। এ জন্য আমি তাদের এ বিষয়ে কোন সাহায্য করতে পারবোনা ”।
প্রসঙ্গত, এই মামলার অপর আসামিদের মধ্যে নাঈম আশরাফ (৩০) ও সাদমান সাকিফ (২৪) নামে দুজন সাফাতের বন্ধু এবং বিল্লাল (২৬) তার গাড়িচালক। অপরজন সাফাতের দেহরক্ষী, মামলায় তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
বিভিন্নসুত্রমতে , অভিযূক্ত নাঈমের বাবা একজন ঠিকাদার এবং তিনি একটি টেলিভিশন স্টেশনের বিজ্ঞাপন বিভাগে কর্মরত। আর ‘পিকাসো’ নামের একটি রেস্তোরাঁর মালিকের ছেলে সাদমানও একটি টেলিভিশন স্টেশনে কর্মরত। ‘ধর্ষিতা’ দুই ছাত্রীর একজনের দায়ের করা ওই মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে সাফাত ও নাঈমের বিরুদ্ধে। অন্য চারজন তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ আছে ।আর সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ঘটনার ভিডিও করেছেন বলে অভিযোগ।