বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব এর দায়িত্ব পেলেন ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বায়তুল মোকাররমের ভারপ্রাপ্ত খতিব এর দায়িত্ব পেলেন ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) তিনি জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ পড়াবেন।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দীক।
এ বিষয়ে ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর গত দুই জুমাতেও বায়তুল মোকাররমে ইমামতি করেছেন ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই সাবেক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন আত্মগোপনে রয়েছেন। খতিবের অনুপস্থিতিতে তিনিই বিকল্প খতিব হিসেবে জুমার নামাজে ইমামতি করে আসছিলেন।
ওলিয়ুর রহমান খান ১৯৬৯ সালের ২ মে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সাবেক মহাসচিব ও আজীবন সহসভাপতি, কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়া মাদরাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আতাউর রহমান খান রহ. এর সন্তান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর মুহাদ্দিস (৫ম গ্রেড) পদে ১৮ বছর ধরে কর্মরত আছেন ড. ওয়ালিউর রহমান খান।
শিক্ষাজীবনে তিনি হিফজুল কোরআন থেকে শুরু করে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়াতে পড়াশোনা করেন। এছাড়া ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদরাসা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে কামিল পাস করেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ কওমি মাদরাসা রাজধানী ঢাকার জামিয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মাদরাসা থেকে ইফতা (মুফতি) সনদ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
২০০৫ সালে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস (প্রথম শ্রেণি গ্রেড ৫) পদে যোগ দেন । বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বিকল্প খতিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ঈদ জামাতে ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছরই তিনি ইমামতি করেন।
আন্তর্জাতিক পরিসরে সৌদি আরবের ৪৩তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতায় ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ওআইসি যুব কেরাত প্রতিযোগিতার বিভিন্ন অধিবেশনে এবং জাতীয় শিশু-কিশোর কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনি বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।