ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাত্তা দিল না বাংলাদেশ
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাত্তা দিল না বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের ৮ উইকেটে হারিয়ে দিলেন মাশরাফিরা।
মুশফিক-সাকিবের ফিনিশিংয়ে বাংলাদেশ সহজেই ২৬১ রান টপকে গেছে, তবে বড় কৃতিত্ব অবশ্যই বাংলাদেশের দুই ওপেনারের।
ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার। পার্থক্যটা হচ্ছে, সিলেটে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তামিম-সৌম্য ১৩১ রানের জুটি গড়েছিলেন দ্বিতীয় উইকেটে। আজ সেটি হয়েছে উদ্বোধনী জুটিতে। ত্রিদেশীয় সিরিজে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং জুটি এনে দিয়েছিল ৮৯ রান। জবাবে ক্যারিবীয়দের চেয়ে ভালো শুরু এনে দেন তামিম-সৌম্য । ২৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুজনের উদ্বোধনী জুটি যোগ করে ১৪৪ রান। আর তাতেই যেন পরিষ্কার হয়ে যায় ম্যাচের গতিপথ।
সৌম্য যখন স্ট্রোকের পসরা সাজিয়েছেন, তামিম এগিয়েছেন ধীর লয়ে। ছটফটানিমুক্ত পরিণত মস্তিষ্কে যেভাবে এগোচ্ছিলেন, তামিমের সেঞ্চুরি পাওনাই ছিল। কিন্তু তিনিও সতীর্থ ওপেনারের মতো সেটি ফেলে এলেন। গ্যাব্রিয়েলের বলে আউট হলেন ৮০ রান করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সাফল্য এতটুকুই। দুই ওপেনার দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে দেওয়ার পর অনায়াসে সমাপ্তিরেখা ছুঁয়েছে সাকিব-মুশফিকের অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে তোলা ৬৮ রানের জুটি।
প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেয়েছিলেন। আজ অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। মাশরাফি বিন মুর্তজা কাল ঠিকই বলেছিলেন, ‘ওর জন্য এটা বিগ ডিল না, কত দিন প্র্যাকটিসে ছিল না, কত দিন ম্যাচ খেলেনি, এসবে ওর সমস্যা হয় না।’ সাকিবের কাজটা সহজ করে দিতে সঙ্গী মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে।
আগে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বড় স্কোর পেতেই পারত। যেভাবে এগোচ্ছিল তাতে রানের পাহাড় না হলেও বাংলাদেশকে বিশাল লক্ষ্য দেওয়া কঠিন কিছু ছিল না তাদের জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। হতে দেননি আসলে মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৪১ ও ৪৩ এই দুই ওভারের ৫ বলের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের চাকা আটকে দিয়েছেন। এ ধাক্কায় স্লগ ওভারটা আর ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫০ ওভারে ক্যারিবীয়দের স্কোর ৯ উইকেটে ২৬১ রানের বেশি হয়নি, যেটি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা টপকেছেন অনায়াসে।