এই অনুষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আহমদ শফী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক মওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদসহ কয়েকশ আলেম উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কওমি মাদ্রাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দের মূল নীতি সমুহের উপর ভিত্তি করে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি সাহিত্য) সমমান প্রদান করা হল।”
বাংলাদেশে কয়েক ধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় কওমি মাদ্রাসার সনদের এই ধরনের স্বীকৃতিতে শিক্ষাবিদ অনেকের বিরোধিতা রয়েছে। জঙ্গিবাদের বিস্তার রোধে মাদ্রাসা শিক্ষা বিলুপ্তির দাবিও রয়েছে।কওমির সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এই সম্মানটা পেলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আলোর পথে যাত্রা শুরু করবে, অন্ধকারে থাকবে না। তারা দেশে বিদেশে চাকরি করতে পারবে। তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ পাবে। তাদের জীবনে অনেক সুযোগ আসবে।
“যেহেতু এই শিক্ষার সরকারি স্বীকৃতি ছিল না। তারা কোথাও তেমন কোনো সুযোগ পেত না।”
ব্রিটিশ আমলে এই অঞ্চলে কওমি মাদ্রাসার যাত্রা শুরু হয়। সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৪ হাজার কওমি মাদ্রাসায় প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।আওয়ামী লীগ সরকার কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার পর ‘বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু মাদ্রাসাগুলোর সবাই একমত না হওয়ায় তা ঝুলে যায়।