করোনায় আরো ৫০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত শনাক্ত ২৯২৮
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
দেশে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫০ জন মারা গেছেন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। ফলে ভাইরাসটিতে মোট দুই হাজার ৬৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে দুই হাজার ৯২৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সর্বমোট দুই লাখ সাত হাজার ৪৫৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হলেন।
আজ সোমবার (২০ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
দেশের মোট ৮০টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৯টি। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩৬২টি নমুনা। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১টি।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো এক হাজার ৯১৪ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গেল ২৪ ঘণ্টা আক্রান্ত শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং এপর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ জন, নারী ১৫ জন। এ পর্যন্ত মৃত দুই হাজার ৬৬৮ জনের মধ্যে পুরুষ ২১০৪ জন (৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ) এবং নারী ৫৬৪ জন (২১ দশমিক ১৪ শতাংশ)।
গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিভাজনে বলা হয়, মৃতদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। যার বয়স দশের নিচে। এছাড়াও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চারজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের দুজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের বয়সসীমার মধ্যে রয়েছেন একজন।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, খুলনায় ১০ জন, রাজশাহী পাঁচজন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন, সিলেট বিভাগে তিনজন এবং বরিশাল ও রংপুর বিভাগে দুজন করে রয়েছেন।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়ে খুব দ্রুত।