কামারখন্দে রেলওয়ের জমিতে অবৈধ দখলদারের মার্কেট নির্মাণ চলছেই
সিরাজগঞ্জ, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে রেলওয়ের জমিতে মার্কেট নির্মাণ বন্ধ হয়নি। মোস্তাক আহমেদ মুকুল নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে চলছে মার্কেট নির্মাণকাজ। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে অভিযান চালানো হবে।
রোববার (১১ জুলাই) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের ঝাঐল ওভার ব্রীজ এলাকায় রেলওয়ের মালিকানাধীন ক্যানেল খাল ভরাট করে ইট-সিমেন্ট দিয়ে মার্কেট নির্মাণকাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছেন মোস্তাক আহমেদ মুকুল।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার চালা শাহবাজপুর গ্রামের মোস্তাক আহমেদ মুকুল নামে সাবেক এক পুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে মার্কেট নির্মাণকাজ চলছে। ইতিমধ্যে ঝাঐল ওভার ব্রীজ সংলগ্ন খালের দক্ষিণের অংশ বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। সেখানে ইট-বালুর স্থাপনা নির্মাণকাজ চলছে। মোস্তাক আহমেদ মুকুল নিজে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও তার তিন ভাই সাংবাদিক হওয়ার সুবাদে কোন কিছু তোয়াক্কা না করে পুরোদমে মার্কেট নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও রেলওয়ে বিভাগ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই তারা এই মার্কেট নির্মাণ করছে বলে একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এ ব্যাপারে পাকশী রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশীল (ওয়ার্ক) আহসানুর রহমান বলেন, উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা আবেদন করেছে। আবেদনটি পাওয়ার পর কানুনগো পরিদর্শন করেছেন। করোনা বেরিয়ে গেলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে মার্কেট নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো কানুনগোরা করতে পারেন। কারণ কানুনগো তদন্ত করে রিপোর্ট দিলেই লিজ দেয়া না দেয়ার বিষয়টি আসে।
তবে রেলওয়ে বিভাগের কানুনগো মো. আব্দুল কাদের বলেন, মার্কেট নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানার পর স্থানীয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। দু-একদিনের মধ্যেই সেখানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।