কিশোরগঞ্জে জাল শিক্ষক! বেতনভাতা কোষাগারে ফেরতের নির্দেশ
সনৎ কুমার রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিবন্ধন সনদ জাল করে চাকুরী নেওয়ার অপরাধে শিরিনা আক্তার নামে এক সহকারী (কম্পিউটার)শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। গত শনিবার (১৩ মে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন।
বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, শিরিনা আক্তার ৪/৩/২০১২ সালে ওই বিদ্যালয়ে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের (কম্পিউটার)সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর ১/১১/২০১২ সালে তিনি এমপিওভুক্ত হন। ওই শিক্ষকের ইনডেক্স নম্বর ১০৬৭৯৬৬ ব্যাংক হিসাব নম্বর ৩৪০৬৫২৪৮।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন , ( নং- ডি আই এ/নীলফামারী/৫৩৯-এস/রাজ-৩৮৮৮/৪) সুত্র মতে, গত ২৪/৮/২০১৫ তারিখে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা উচ্চ বিদ্যালয়টি পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা পরিদর্শক টুটুল কুমার নাগ এবং অডিট অফিসার গোলাম মুর্ত্তজা। প্রতিবেদনে উল্লেখ সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) শিরিনা আক্তারের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অত্র কার্যালয়ে ২৯/১০/১৫ তারিখে এন, টি , আর,সি ,এ চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরন করে কতৃপক্ষ ১৬/১০/১৬ তারিখের স্বাক্ষর নং-বেশিনিক/শি,শি/সনদ যাচাই করে পত্রের মাধ্যমে জানান যে তার সনদটি সঠিক নয়। জাল সনদের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধি সত্য হয়নি। ফলে গৃহীত সরকারী বেতন ভাতা বাবদ ১/১১/১২ হতে ৩১/৭/১৫ পর্যন্ত মোট ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩ শত ৮০ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।
এ ব্যাপারে চাঁদখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন জানান, আমার বিদ্যালয়ের মোট ১২ জন শিক্ষকের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে অডিট কমিটি সহকারী (কম্পিউটার) শিক্ষক শিরিনা আক্তারের নিবন্ধন সনদ জাল মর্মে গত ৭/৫/১৭ তারিখে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটি ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষিকার নিবন্ধন সনদ জাল হওয়ার কারনে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বলে শুনেছি।
সহকারী শিক্ষক ( কম্পিউটার) শিরিনা আক্তারের মোবাইলে যোগাযোগ করে তাঁকে না পেয়ে ওই বিদ্যালয়ের অপর সহকারী শিক্ষক ও শিরিনা আক্তারের স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন , আমার স্ত্রীর কাগজপত্র সব ঠিক আছে। আমি ওই কাজের জন্য বর্তমানে ঢাকায় আছি বলে ফোনের লাইন কেঁটে দেন।
- কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।