কি দোষ ছিল শিশুটির!
বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী, টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম
আনন্দ আর উৎসাহের মধ্য দিয়ে মায়ের কোল ভরে শিশু আসবে এটাই মা বাবার প্রত্যাশা। শিশুটি জন্মের পর মায়ের আদর আর বাবার ভালবাসা পাবে জন্মের পর এটা আগত শিশুর চাওয়া। অথচ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নবাগত এই শিশু জন্মের পর কাছে পাচ্ছে না তার মা বাবাকে। আদর কি বুঝে উঠছে না শিশুটি। নিস্পাপ শিশুটির অপরাধ সে বিকৃত চেহার নিয়ে জন্মিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে মাঈন উদ্দিন ও আজিরনের কোলে আসে যোমজ দুই সন্তান। একটি ছেলে আর একটি মেয়ে। ছেলে শিশু সুস্থ হলেও মেয়ে সন্তানটি জন্মেছে বিকৃত চেহারা নিয়ে। শিশুটির বাবা মাঈন উদ্দিনের বাড়ি দেলদুয়ার উপজেলার চন্ডী গ্রামে। জন্মের পরই সুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে অসুস্থ শিশুটিকে ফেরত পাঠিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এর পর বিকৃত শিশুটি মা বাবার কোলের আদর থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে আছে তার বাবার ঘরের মেঝেতে। তাকে সেবা যত্ন করছেন প্রতিবেশীরা। চিকিৎসক ও প্রতিবেশিদের ধারণা শিশুটিকে হয়তো বাঁচানো যাবে না। প্রতিবেশিরা শিশুটির মুখে দুধ তুলে দিলেও পান করতে পারছে না বিকৃত শিশুটি। তবে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্তও চন্ডী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় শিশুটি বেঁচে আছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকারা বলছেন, শিশুটিকে হয়তো বাঁচানো যাবে না। অপর শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এদিকে বিকৃত শিশুটি জন্মের খবর পেয়ে চন্ডী গ্রামে শিশুটিকে দেখতে শিশুটির বাড়িতে শত শত উৎসক মানুষ ভীড় করছেন । তবে শিশুটির পাশে নেই মা বাবা। সুস্থ শিশুটিকে বাঁচাতে ব্যস্ত এই বিকৃত শিশুর মা বাবা।