রচনা পারভিন এর কবিতা- কেউ একজন থাকুক অন্তত
কেউ একজন থাকুক অন্তত
-রচনা পারভিন
কেউ একজন থাকুক এমন
যাকে বলা যায় “শাড়ি চুড়ি না,
কেবল দুদন্ড সময় দাও
আমার কথা শোনো
আমার খুব মন খারাপ”
এভাবেই দুম করে যা খুশি বলে
দেওয়া যায় কোনো কিছু না ভেবেই।
কেউ একজন থাকুক এমন।
যাকে বলা যায় নিজের বোকামি আর
পাওয়া না পাওয়ার কথা,
পূর্নতা- অপুর্ণতা,
মান- অভিমানের কথা।
পরাধীনতা, আর পরাধীনতার
শেকল ছিড়ে ফেলার কথা।
কেউ একজন থাকুক এমন।
যাকে তুচ্ছতম ঘটনাও বলে
অট্টহাসিতে ফেটে পড়া যায়।
বেহিসাবি মায়ায় নিজেকে আটকে
রাখা যায়।
ভালবাসার লোভে,
নৈতিকতার বাধ ভেঙে,
সত্য- মিথ্যের প্রভেদ ভুলে
আমৃত্যু উইপোকার বসতি হৃদয়টাকে
রেখে দেওয়া যায় সযতনে তার হৃদয়ে।
কেউ একজন থাকুক অন্তত
যাকে দূরত্ব পাড়ি দিয়ে ভুল
মানুষের দরজায় গিয়ে
খালি হাতে একায় ফিরে আসার
কষ্ট বলে হালকা হওয়া যায়।
কাছের মানুষটির কাছে ভালোবাসা
পাওয়ার যোগ্যনা প্রমাণ পেয়েও
ভালোবাসা চেয়ে যাওয়ার বোকামিগুলি
সরলভাবে বলা যায়।
কেউ একজন থাকুক এমন,
যার কাছে অবলিলায় বলা যায়
গোপন রাখা সব টুকু আনন্দ,
দুঃখ সুখ নির্দিধায়।
বলা যায় অতীতের সুখস্মৃতি,
বর্তমানের নিকৃষ্ট সময়ের যন্ত্রণা।
রাতের পর রাত কোনো একজনকে ছুঁতে
না পারার কষ্টে রাত জাগার
অসহনীয় নিদারুণ কষ্ট।
কেউ থাকুক এমন
যাকে নিজের লেখা হাবিজাবি কবিতাও
মনোযোগী শ্রোতা বানিয়ে
শুনিয়ে দেওয়া যায় ঘন্টার পরে ঘন্টা।
যার কাছে অন্তত একটু সহজ হওয়া যায়।
থাকুক না এমন একজন নির্ভরশীল মানুষ
যার কাছে নিজের কথাগুলি রেখে
আপন মনে কিছুক্ষণ কান্না করা যায়।