কেমন আছেন আজিজ মুহাম্মদ ভাই – সালমান শাহ হত্যার প্রধান আসামী !
সেলিনা জাহান প্রিয়া
সালমান শাহ হত্যার সবচেয়ে সন্দেহভাজন আসামী এই আজিজ মুহাম্মদ ভাই । তিনি সালমানের মৃত্যুর সময় থেকেই একজন ধনকুবের নামে পরিচিত আবার অনেকে উনাকে ডনও বলে থাকেন । সবার শুরুতে জানা যাক উনার নামের সাথে ভাই এলো কোথেকে । এটা “ডন” জাতীয় ভাই নয়, আসলে উনি একজন বাহাইয়ান অর্থাৎ “বাহাই’ নামক এক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত । সম্ভবত উনার পিতাও বাহাইয়ান ছিলেন । সেই থেকে নামের সাথে বাহাই যা ডাকতে ডাকতে সংক্ষেপে ভাই’তে পরিণত হয় । বাংলাদেশে বাহাই ধর্মের ১০ হাজারের মতন অনুসারী আছে বলে শুনেছি । এখন কথা হচ্ছে – সালমান শাহের মৃত্যুর সাথে উনার সম্পর্ক কোথায় ? – এই আজিজ ভাই একজন বড়মাপের প্রযোজক ছিলেন যার ফলে সালমান শাহের পরিবারের সাথে তার সখ্যতা ছিল । জানা যায় – সালমান শাহ তার মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে এক পার্টিতে তার স্ত্রী সামিরাকে কিস করার জন্য এই আজিজ ভাইকে প্রকাশ্যে থাপ্পর মাড়েন । সেই পার্টিতে শাবনুরও তার মা-সহ উপস্থিত ছিল । সালমান শাহকে হত্যা করা হতে পারে এমন সন্দেহ যখন থেকে তৈরি হয় তখন থেকে এই চড় মারার বিষয়টা সামনে চলে আসে । তাছাড়া সালমান শাহ এর মা অভিযোগও করেছেন এই আজিজের লোকেরা সালমান হত্যাকাণ্ড বিচারের সময় তাকে ও তার ছোটছেলেকে মারার চেষ্টা করেছিল যার ফলে তিনি লন্ডনে চলে যান ।
সালমান হত্যা মামলায় তাকে দুবার গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে আমার মনে পরে তবে দুবারই হত্যার উপযুক্ত কোন প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দিতে হয় । সালমান ভক্তদের মতে, মিডিয়ার পিড়াপিড়িতে সবই লোক দেখানো ব্যাপার সেপার – আজিজ সব কিছু আগে থেকেই ঠিকঠাক করে রেখেছিলেন । তবে এই আজিজ ব্যতিতও সালমানের আরও শত্রু অবশ্য ছিল । যদি তা হত্যাকাণ্ড হয়েও থাকে এমনও হতে পারে এটা তার সকল শত্রুর মিলিত পরিকল্পনা – এমনটাও অনেকে ধারনা করেন ।
এই আজিজ মুহাম্মদ ভাই একজন বড় শিল্পপতি । অলিম্পিক ব্যাটারী, অলিম্পিক বলপেন, এমবি ফার্মাসিটিউক্যাল, এমবি ফিল্ম, টিপ বিস্কুট, এনার্জি বিস্কুট এগুলোর মালিক তিনি । স্বপরিবারে তিনি এখন ব্যাঙ্ককে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন । উল্লেখ্য সালমান শাহ হত্যার প্রায় সকল আসামীই বিদেশে সেটেল হয়ে গিয়েছেন, কাল সালমান হত্যার তদন্তপ্রাপ্ত পিবিআই অফিসারের এক সাক্ষাতকারে দেখতে পেলাম – তিনিও এটাকে সন্দেহজনকভাবে দেখছেন । উল্লেখ্য, সালমানের মৃত্যুর পর তারা একে একে বিদেশে সেটেল হতে শুরু করে ।
এই আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বিরুদ্ধে একজন পত্রিকা সম্পাদককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার ১৪-১৫ বছরের কন্যাকে উঠিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে, আর ঐ সম্পাদকের মৃত্যুকে হার্ট অ্যাটাক বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ আছে । আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের পরিবারও স্বনামধন্য ধনী পরিবার, তার পরিবারের অনেকের বিরুদ্ধেও ক্রাইমের অভিযোগ আছে । বেশ কয়েকবছর আগে উনারই আপন ভাগিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইয়াবা মজুদসহ ধরা পড়েন এবং ৯০ বছরের সাজা পান । অভিনেত্রী দিতির স্বামী এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল চৌধুরীকে ঢাকা ক্লাবে হত্যা করা হয় উনার ভাইয়ের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনা ও উপস্থিতিতে । জানা যায়, এই হত্যার মূলে ছিল তখনকার রমরমা ডিশ ব্যবসা যা সোহেল চৌধুরীর পরিবারের এক চেটিয়া অধীনে ছিল – যা আজিজের পরিবার দখল করে নিতে চেয়েছিল ।
তথ্য সুত্র- ইন্টারনেট।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।