তানোরে পাকা রাস্তা সংস্কার কাজের তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নিলেন ঠিকাদার
সৈয়দ মাহামুদ শাওন, তানোর উপজেলা প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
রাজশাহীর তানোরে পাকা রাস্তা পূর্ণ সংস্করণ কাজের তথ্য চাওয়ায় তানোর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সারোয়ার হোসেনের ক্যামেরা ফোন কেড়ে মাটিতে আছড়ে ফেলে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর এক প্রভাবশালী ঠিকাদার মকসেদ আলীর বিরুদ্ধে। সাংবাদিক লাঞ্ছিত করার এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের আজিজপুর ও কুজিশহর রাস্তার নুনাপুকুর ফুটবল মাঠে।
এতে করে সাংবাদিক সারোয়ার হোসেনের ফোন ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে সাংবাদিককে লাঞ্ছিতর ঘটনায় তানোর উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে ঠিকাদরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এবং দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে মানববন্ধন করাসহ বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে ঠিকাদার মকসেদ আলীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামা হবে। এমনকি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে স্মারক লিপি দেয়া হবে। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, বরেন্দ্র কৃর্তক উপজেলার কলমা ইউনিয়নের আজিজপুর মোড় থেকে কুজিশহর হরিদেব পুর পর্যন্ত প্রায় ৩কিমি রাস্তা পূর্ণ সংস্করণ করার কাজ করা হচ্ছে।
এতে করে রাস্তার কাজ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে পিচ পাথর দিয়ে নামমাত্র মানুষ দেখানো কাজ করায় স্থানীয়দের অভিযোগে রাস্তার কাজ দেখতে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কাজের বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা বলা হলে তিনি সরাসরি ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করতে বলে ফোনের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। ফলে প্রকৌশলীর কথা মত ঠিকাদার মকসেদ আলীর সাথে রাস্তা পাকা করন কাজের তথ্য চেয়ে ক্যামেরা ধরা হলে তিনি কোন কথা ছাড়াই ক্যামেরা ও ফোন দৌড়ে এসে কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছড়ে পাক মারেন।
সেই সাথে বেশি বাড়াবাড়ি করলে হাত পা ভেঙ্গে ফেলে রাস্তায় ফেলে রাখার হুমকি দেন সাংবাদিক সারোয়ার হোসেনকে ঠিকাদার মকসেদ আলী। সাংবাদিক লাঞ্ছিত করার বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক সারোয়ার হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথকে অবহিত করলে ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাকিবুল হাসান রাকিবকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, এটা উপজেলা প্রশাসনের আন্ডারে বলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেন।