খানসামা আত্রাই নদীর উপর নির্মিত জিয়া সেতুর বেহালদশা
খানসামা(দিনাজপুর) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার অর্থনৈতিক, সামাজিক, যোগাযোগ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে আত্রাই নদীর উপর ৪৯২ মিটার দৈর্ঘ্য জিয়া সেতু ২০০৫ সালে নির্মিত হলেও সেতুটির দীর্ঘ ১৩ বছর যাবত সেতুটি সংষ্কারের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজটির উপরিভাগ খানাখন্দকে জর্জরিত হয়ে
রয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে অনেক স্থানে পানি জমে থাকতে দেখা যায়। জিয়া সেতুর নির্মাণের পর সারা উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে উন্নতি সাধিত হয়েছে তা বলা বাহুল্য।
সেতুর পাশ্ববর্তী উত্তরের জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, বীরগঞ্জের বিভিন্ন কৃষিপণ্য ধান, চাল, ভুট্টা, গম, আলু, পাট, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ, পটল ট্রাকে করে জিয়া সেতুর উপর দিয়ে সৈয়দপুর, রংপুর, বগুড়া ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।
বীরগঞ্জের অসংখ্য ভাটার ইট, আত্রাই নদীর বালু এবং জনসাধারনসহ দৈনন্দিন এ ব্রীজের উপর দিয়ে হাজার হাজার বাস, ট্রাক, ট্রলি, কার, মাইক্রো, রিক্সা ভ্যান চলে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি সংষ্কারের কথা কেউ ভাবেনা।
অত্র এলাকার উন্নত যোগাযোগ ও মানুষের জীবনযাত্রার ছোঁয়ায় যথাসময়ে কৃষিপণ্য বাজারজাত করে সঠিক মূল্য ব্রীজটির কারণেই কৃষকরা পেয়ে থাকেন। দেশীয় প্রযুক্তি ও প্রকৌশলীদের মাধ্যমে এলজিইডি ব্রীজটি নির্মাণ করলেও সংষ্কারের কোন উদ্দ্যোগ নিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সুবীর কুমার জানায়, সেতুটি বর্তমানে এলজিইডির আওতাধীন না থাকায় আমরা কিছু করতে পারছি না।
খানসামা বাজারের হোসেন আলী, বীরগজ্ঞের মোটরসাইকেল চালক মকবুল হোসেন, সালাম আলী, বাসুলী গ্রামের আব্দুল জলিল, নীলফামারীর রেজওয়ান সহ ব্রীজের দু’পাশের একাধিক দোকানদার ও জনসাধারনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রীজটি খানসামা-বীরগঞ্জ উপজেলাবাসীর বন্ধন ও যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করেছে। ব্রীজের পূর্বপাশের গ্রামের লোকগুলো সহজেই এই ব্রীজ পার হয়ে বীরগজ্ঞ, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর যেতে পারেন। এমনকি যারা বিভিন্ন কাজে রংপুর, বগুড়া, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট যান তারাও ব্রীজ পার হয়ে বীরগজ্ঞে যেয়ে গাড়িতে উঠে অতি সহজেই যেতে পারেন। আবার বীরগজ্ঞ, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় এলাকার যানবাহন ও সাধারন মানুষ যানচলাচলের সুবির্ধাতে খানসামা, নীলফামারী, সৈয়দপুর, রংপুর যেতে পারেন। ব্রীজটি এ অবস্থায় সংস্কার না করলে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং একসময় চলাচলের হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে জানান এলাকাবাসী।