খাবারের অপেক্ষা তিস্তা পাড়ের মানুষ
সনৎ কুমার রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
দু’দিন ধরে পানিবন্দি মানুষ ত্রাণ সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে।
বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে দুর্ভোগ কমেনি তিস্তা পাড়ের মানুষের।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সোমবার সকাল ৯টায় বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে তিস্তার পানি প্রবাহ কমায় নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় বন্যার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বন্যা দুর্গত মানুষ এখনো পায়নি ত্রাণ সহায়তা। দু’দিন ধরে পানিবন্দি মানুষগুলো অভুক্ত থেকে ত্রাণ সহায়তার আশায়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে বন্যা দুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসনের ত্রাণভাণ্ডার হতে জিআর এর ৫৫ মেট্রিকটন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক খালেদ রহীম বলেন, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের জন্য চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নীলফামারী জেলার ২৫টি চর ও গ্রামের ১৫ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, মঙগলবার রাত থেকে তিস্তায় পানি কমতে শুরু করেছে। আজ সকাল ১০টায় তিস্তার পানি ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো সূত্র জানায়, ভারত ১৯৯৮ সালে তিস্তা ব্যারাজের ৬০ কিলোমিটার উজানে গজলডোবা বাঁধ নির্মাণ করে। বর্ষার সময় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হলে বা উজানে বন্যা হলে এ বাঁধের ৫৪টি গেটের সব কটি খুলে দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বন্যা দেখা দেয়। প্লাবিত হয় নীলফামারী ও লালমনিরহাটসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা।
- কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।