খুলনা সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি আ. লীগের অনাস্থা
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলীর প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে এই অনাস্থা জানায় ক্ষমতাসীন দলটি।
বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী পক্ষপাতদুষ্ট। তিনি অতীতে একটি বিশেষ দলের সঙ্গে ছিলেন এবং সংবিধান বিরোধী মনোভাব পোষণ করেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, খুলনা নির্বাচন সম্পর্কে, পরিচালনা সম্পর্কে, রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, প্রিজাইডিং অফিসার সম্পর্কে সব মিলিয়ে আমরা দেখেছি সেখানে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমরা মূলত যেটা বলেছি বর্তমান যে আরপিও ও নির্বাচনী আচরণবিধি সেটি যে সময় তৈরি করা হয়েছিল তখন থেকে এখনাকার অবস্থার একটি বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওই আরপিও আর চলে না। এখানে আরপিও থাকার ফলে আমার অনেক বড় নেতা (সবাই এমপি) নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। অন্যদিকে অন্য সব দলের সবাই নির্বাচনে ঝাপিয়ে পড়েছে। এর ফলে নির্বাচনী প্রচারণায় যে অসমতল ব্যবস্থা এটির প্রতিকার করা দরকার। আর আগামীতে এ রকম যাতে না হয় সেটিও আমরা বলেছি।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আরো বলেন, এককালে সময় খুলনা সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিলো। এখন নির্বাচনী সুযোগ বুঝে সন্ত্রাসীরা দলের ছত্রছায়ায় দলে দলে ঢুকে যাচ্ছে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আপনারা বলছেন, খুলনায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আবার বিএনপির অভিযোগ, সেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এরই মধ্যে বিএনপির অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপনি কী মনে করেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এইচ টি ইমাম বলেন, এটা একেবারেই মিথ্যা। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই চিহ্নিত আসামি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে। এরা পলাতক ছিল। এখন নির্বাচনের সময় তারা এসেছে।
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি আপনাদের অনাস্থা সেটা আপনারা নির্বাচন কমিশনে বলেছেন। আপনাদের কি বলেছে কমিশন- এমন প্রশ্নে এইচ টি ইমাম বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের বলেছে, তারা এরই মধ্যে পদক্ষেপ নিয়ে খুলনায় একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে তত্ত্বাবধায়ন করার জন্য। এবং এটাই আমরা চাচ্ছিলাম। তা না হলে এই রকম একজন পক্ষপাতদুষ্ট যার অতীত একেবারেই কালিমা লিপ্ত। তিনি এখনো ওই রকমভাবেই ব্যবহার করছেন।
এর আগে আজ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের বৈঠক শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও আবদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিইসি কেএম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার ও শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেচুর রহমান। সূত্র-এনটিভি।