গরু হিষ্ট পুষ্টে সফল খামারি পাবনার মিনারুল; ৪২ মন ওজনের টাইগার কে দেখতে ভীড় করছেন উৎসুক মানুষেরা
সৈয়দ আকতারুজ্জামান রুমী, পাবনা প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা প্রক্রিয়ায় সফল খামরি মিনারুল। পাবনার চাটমোহরের ছোট গুয়াখড়া গ্রামের ৪৪ বছর বয়সী এই মিনারুলের খামারে এখন ৪২ মন ওজনের গরু। যার নাম নাম দেওয়া হয়েছে টাইগার। কোরবানি পশু হাটে টাইগার গরুটি ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে ইচ্ছুক মিনারুল।
পাবনার চাটমোহর উপজেলারছোট গুয়াখড়া গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আকুল প্রামানিকের ছেলে মিনারুল ইসলাম। ১ বছর ৪ মাস আগে প্রতিবেশী এক বন্ধুর ১৫/১৬ মন ওজনের গরু কিনে দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের খামারে এই প্রথম বারের গরু মোটাতাজা করণ শুরু ধরেন মনিরুল। বর্তমানে তাঁর টাইগার নামের গরুটির দৈর্ঘ্যতা ৯ফুট; আর উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট। ফিজিয়ান জাতের এ গরুটির ওজন ৪২ মন। কালো আর সাদা রঙ মিশ্রিত সুঠাম স্বাস্থ্যর অধিকারী টাইগারকে দেখতে প্রায় দুর দুরান্ত থেকে ছুটে যাচ্ছেন মানুষ।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, মিনারুল পাবনার চাটমোহর উপজেলারছোট গুয়াখড়া গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আকুল প্রামানিকের ছেলে। ১ বছর ৪ মাস আগে প্রতিবেশী এক বন্ধুর ১৫/১৬ মন ওজনের গরু কিনে দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের খামারে এই প্রথম বারের গরু মোটাতাজা করণ শুরু ধরেন মনিরুল। বর্তমানে তাঁর টাইগার নামের গরুটির দৈর্ঘ্যতা ৯ফুট; আর উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট। ফিজিয়ান জাতের এ গরুটির ওজন ৪২ মন। কালো আর সাদা রঙ মিশ্রিত সুঠাম স্বাস্থ্যর অধিকারী টাইগারকে দেখতে প্রায় দুর দুরান্ত থেকে ছুটে যাচ্ছেন মানুষ।
মিনারুলের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা, তিনি তার স্বামীকে গরু পালনে সহযোগিতা করে থাকেন। ৪ জন হালে গরুটির দেখা শুনা করে থাকেন। তিনিও তাদের অনুপস্থিতে দায়িত্ব পালন করেন। গরুটির খোশুনার দায়িত্বরতদের মধ্য সবচেয়ে বয়জষ্ঠ্যে বারেক মোল্লা বলেন,আমার জীবনে এত বড় গরু কোন দিন পালিনি। গরুটির স্বভাব সুলভ খুবই ভালো। তবে বেশি লোকের ভীড় দেখলে রেগে যায়। স্থানীয় গাজিউর রহমান জানান,আমাদের গ্রামের গর্ব এই যে এমন বড় গরু আমরা আজো পাবনা জেলার মধ্য দেখিনি। খামারি মিনারুলের ছোট ভাই সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেনএত বড় গরু আমাদের এখানে প্রতিদিন মানুষ দল বেধে দেখতে আসে। গরুটির যদি ন্যার্য দাম পাই তাহলে আমার বড় ভাই কে আগামীতে গরু মোটাতাজা করণে উৎসাহিত করবো।
চাটমোহর ছোট গুয়াখড়া গ্রামের গো খামারি মোঃ মিনারুল ইসলাম জানান,গরুটা প্রথম যখন কিনি তখন ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা দিয়ে। তখন ওজন ছিলো ১৫ থেকে ১৬ মন। ১ বছর ৪ মাস আগে কিনেছি। দেশীয় খাবার খাওয়ায়ে মোটা তাজা করা হয়েছে। আমি এখন বর্তমান বাজার মূল্য চেয়েছি ৩০ লাখ টাকা। গরুর ওজন ৪২ মন ছাড়িয়ে। আমার গরু লম্বায় ৯ ফুট আর উচ্চতায় ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারলেই আমি খুশি।
পাবনা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আল মামুন হোসেন জানান,পাবনা জেলায় এবারের কোরবানীর উদ্দেশ্যে ২০ হাজারেরও অধিক খামারে গরু,ছাগল, ভেড়া, মহিষ,মিলিয়ে ২ লাখ ১৮ হাজার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি জেলার চাদিা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে পারবে। এই পশু গুলো খামারিরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে হিষ্ট পুষ্ট করেছেন। এ পদ্ধতিতে কোন ভাবে ক্ষতিকারক রাসায়নিক বা ওষুধ প্রয়োগ করা হয় নি।
দেশীয় খামরীরা যাতে তাদের পশু বিক্রির ক্ষেত্রে ন্যার্য মূল্য পাই সে জন্য ভারতীয় গরু আমদানি সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখা হয়েছে।
অপরদিকে ঈশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের গরু খামারি কোয়েল বিশ্বাস, জানালেন, গত বছর ৪০ লাখ টাকার গরু বিক্রি করেছিলাম। এবারে ৫০ লাখ টাকা বিক্রি করতে চাই। তিনি এবারে ২০টি গরু,২০টি ছাগল ও ২০ ভেড়া বিক্রি করবো।
পাশাপাশি ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনয়নের চর কামালপুরের মহিষের বাথান খামারি কর্নেল প্রামানিক জানান, তার মহিষের বাথানে ১০০টি মহিষ রয়েছে। সে এবারে ১টি মহিষ বিক্রি করবে। ৮ মন ওজনের মহিষ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাম বলেছে। সে আসা করছে মহিষটি ২ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন।
পাবনা জেলায় ২০ হাজার ৬শ’৭৩ খামারি গরু,মহিষ, ছাগল,ভেড়া,মিলিয়ে ২ লাখ ১৮ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন। তার মধ্যে ১ লাখ গরু ও মহিষ এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। বলে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
দেশীয় খামরীরা যাতে তাদের পশু বিক্রির ক্ষেত্রে ন্যার্য মূল্য পাই সে জন্য ভারতীয় গরু আমদানি সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখা হয়েছে এ জন্য সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও সর্তক রয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।