হাসপাতালে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে গাছতলায় সন্তান প্রসব
নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে গাছতলায় সন্তান প্রসবে বাধ্য হয়েছেন এক নারী।
শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্তরের এমনই এক ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নড়েচড়ে বসেন উপজেলা ও হাসপাতাল প্রশাসন।
রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের বালাভিড় গোয়ালপাড়া এলাকার জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী রীনা বেগমের প্রসব বেদনা উঠে। শনিবার সকাল ৮ টায় তাকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। রোগীর প্রথম সন্তান অস্ত্রপচারের মাধ্যমে জন্ম দেওয়ার কথা শুনে হাসপাতালের মিডওয়াইফ নার্স সাবানা বেগম ওই রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে পঞ্চগড় বা ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় ওই প্রসূতির স্বামী জাহিদুল ইসলাম টাকা ও গাড়ির ব্যবস্থা করতে যান। এদিকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরও ওই রোগী হাসপাতাল ত্যাগ না করায় তাদের চাপ দিয়ে থাকে নার্স সাবানা বেগম। কিন্তু স্বামী ফিরে আসার অপেক্ষায় বসে ছিলো ওই প্রসূতি। এক পর্যায়ে তাদের হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে ওই নার্স। ননদ রেজিনাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে হাসপাতালের সামনের একটি ইউক্যালিপটাস গাছের নিচে অপেক্ষা করছিলেন ওই প্রসূতি। কিছুক্ষণ পর সেখানেই একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এটি তার তৃতীয় সন্তান। পরে ওই হাসপাতলের পরিচ্ছন্ন কর্মী সোহাগী নবজাতক ও প্রসূতিকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে নিয়ে যান।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসআইএম রাজিউল করিম রাজু বলেন, এ ঘটনায় মিডওয়াইফ নার্স সাবানা বেগমকে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার কারণ জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ হাসানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হাসান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত হাসপাতালে প্রসূতিকে দেখতে যাই। এ সময় তাকে আর্থিক সহায়তাও করা হয়। বিষয়টি যথাযথ নিয়মে স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মিডওয়াইফ নার্স সাবানা বেগম বলেন, রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া প্রসূতিকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসআইএম রাজিউল করিম রাজু বলেন, এ ঘটনায় মিডওয়াইফ নার্স সাবানা বেগমকে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার কারণ জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ হাসানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হাসান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত হাসপাতালে প্রসূতিকে দেখতে যাই। এ সময় তাকে আর্থিক সহায়তাও করা হয়। বিষয়টি যথাযথ নিয়মে স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মিডওয়াইফ নার্স সাবানা বেগম বলেন, রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া প্রসূতিকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল।