গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নেই লিজার মরদেহে
সৈয়দ মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে নিখোঁজের আটদিন পর শনিবার লিজা আক্তার নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে সখিপুর থানা পুলিশ। কিন্তু ময়নাতদন্তের জন্য লিজার মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেলে লিজার জরায়ু, লিভার, ফুসফুস, কিডনি ও হৃদযন্ত্রসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পাননি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে মরদেহের ময়নাতদন্তকারী শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাবরিনা খান জানান, মরদেহটি প্রায় এক সপ্তাহ আগের। তার শরীরের বেশিরভাগ অংশই পচে গেছে। রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য কিডনি, লিভার সংরক্ষণ করতে গিয়ে মেয়েটির শরীরে অঙ্গগুলো পাওয়া যায়নি। মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য আলামত সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায় তার জরায়ুও নেই। তাই লিজার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়াটা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন লিজার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পাওয়া যায়নি। কোনো জীবজন্তু খেয়েছে নাকি অন্য কোনো ঘটনা সেটা তদন্ত করছি।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আরএমও’র দায়িত্বে থাকা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, গতকাল লিজার মরদেহ নিয়ে এলে মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাবরিনা খান ও এহসানুল হক। লিজার চুলসহ শরীরের গুরুপ্তপূর্ণ কোনো অঙ্গ পায়নি তারা।
আমরা ডাক্তারা ধারণা করছি কোনো ক্রাইম চক্র লিভার, ফুসফুস, কিডনি ও হৃদযন্ত্র বিক্রি করার জন্য এটা করতে পারে। তাই ডিএনএ টেস্ট করার জন্য শরীরের কিছু অংশ ঢাকা মেডিকেল ও মহাখালিতে পাঠিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই শনিবার বিকেলে স্কুলছুটির পর বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হয় লিজা। সন্ধ্যা হয়ে গেলে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবার। পরে সখিপুর থানায় একটি জিডিও করা হয়।
আটদিন পর গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সখিপুর ইউনিয়নের ছৈয়ালকান্দি গ্রামের একটি পাট খেতের পানিতে লিজার মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। সখিপুর থানায় খবর দিলে লিজার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্ত করার জন্য মরদেহটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
- কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।