খানসামায় পিতৃপরিবারে গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম।
ভূপেন্দ্র নাথ রায়, দিনাজপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
দিনাজপুরের খানসামায় পিতৃপরিবারে পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে খানসামা উপজেলার ৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং পশ্চিম হাসিম পুর গ্রামে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়নের জোতরঘু গ্রামের মৃত মফিজউদ্দীনের ছেলে তৈয়ব আলী (৩৫) এর সাথে ১০ বছর পূর্বে খানসামা উপজেলার ৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম হাসিমপুর গ্রামের হেদায়েতুল্লার ২য় মেয়ে সূমি বেগমের বিয়ে হয়। ১০ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের ১ ছেলে ও মেয়ে।
তৈয়ব আলীর শ্বশুড় মো: হেদায়েতুল্লা (৬৫) জানান, মেয়ে ও জামাই এক মাস পূর্বে তার বাড়ীতে আসে। ঘটনার দিন তার জামাই মেয়ের কাছে টাকা চায়। মেয়ে অকারনে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তৈয়ব মারধর শুরু করে। তিনি আরো জানান যে, পাষন্ড তৈয়ব মাঝে মাঝে জুয়া খেলায় এবং প্রায়ই তার মেয়েকে মারধর করে। কিন্তু সে গরীব হওয়ায় এবং মেয়ে জামাইয়ের সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য মুখ বুঁজে সব সহ্য করে গেছেন।
৮ মে বৃহস্পতি বার সুমির জবান বন্দী নিতে গেলে সে জানায়, ঘটনার দিন গত ৪ জুন ইফতারের পর খরগোশ বাচ্চা খাঁচায় ভরা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে তার স্বামী তাকে প্রথমে লাকরি পরে লাঠি দিয়ে পেটানো শুরু করে। প্রতিবেশী মহিলারা বাঁচাতে আসলে তৈয়বের মারমুখি আচরনে ব্যর্থ হয়। বেদম প্রহারের ফলে নির্যাতিতা সুমির মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। এরপর পরিবারের অন্য সদস্যদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে পাষন্ড স্বামী পালিয়ে নিজ বাড়ী চিরিরবন্দরের ঠাকুরের হাটে চলে যায়।
এরপর সুমি বেগমকে তাড়াতাড়ি খানসামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাকেরহাটে রাত ৯ টায় ভর্তি করা হয়। পরে তৈয়ব আলীকে মোবাইল করলে সে তাচ্ছিল্যের স্বরে বলে, “এখনো মরে নাই, মইলে মাটি দেও। তার শ্বশুর হেদায়েতুল্লা কে ফোন করে বলে, ওয় খাঙ্কির পোলা! তুই মোক দড়ি নাগাবু আয়”।
প্রতিবেশী জাকারিয়া জানায়, তৈয়ব আলী এর আগেও সুমিকে অনেকবার মেরেছে। একবার ঝগড়া করে তার ৬ মাসের বাচ্চাকে নিজের বাসা নিয়ে যায়।
প্রতিবেশী জাকারিয়া জানায়, তৈয়ব আলী এর আগেও সুমিকে অনেকবার মেরেছে। একবার ঝগড়া করে তার ৬ মাসের বাচ্চাকে নিজের বাসা নিয়ে যায়।
৭ জুন বিকেল তিনটায় সুমি সুস্থ্য হলে তাকে দায়িত্বরত চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়। জানা যায়, সুমির পিতা এ ব্যাপারে মেয়ের সংসার টিকিয়ে রাখতে এখনও মামলা করেনি। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যানকে অবগত করতে ওয়ার্ড সদস্যকে জানানো হয়েছে।
- কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।