গোপালপুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ; গ্রেফতার-২
মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
গোপালপুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণের পর ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে দুই লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগে এক ধর্ষক ও তার সহযোগিকে আজ বৃহস্পতিবার রাতে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ওসি হাসান আল মামুন জানান, বাবামার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় পর বিধবা নানীর কাছে থেকে উত্তর পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে ওই ছাত্রী লেখাপড়া করতো। গত ১৬ এপ্রিল ওই ছাত্রী উত্তর পাথালিয়া গ্রামের পড়শি ফজলু মিয়ার বাড়ির ফ্রিজে রাখা দুধ আনতে যায়। ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগমের যোগসাজশে একই গ্রামের হাসেন আলীর পুত্র মজনু (৩০) এবং শামসুল হকের পুত্র সোহাগ (১৫) ভিক্টিমকে কৌশলে ঘরে আটকিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এসময়ে তারা গণধর্ষনের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় ভিক্টিমের দরিদ্র নানী সাহেরা বেগম ঘটনাটি বাধ্য হয়ে চেপে যান। পরে গোপনে স্থানীয়ভাবে ঐ ধর্ষিতা ছাত্রীকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ধর্ষিতার মা লাভলী বেগম অভিযোগ করেন, তাদের দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষকরা পুনরায় শিশুটিকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য বাড়িতে এসে হুমকিধামকী দিতে থাকে। এমতাবস্থায় শিশুটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ধর্ষিতা শিশুটিকে টাঙ্গাইল শহরের এক আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়।
গত ৯ জুন ধর্ষকরা ধর্ষিতা শিশুর নানী বাড়ি গিয়ে নানী সাহেরা বেগমের হাতে ধর্ষনের প্রমাণ হিসাবে একটি মোবাইলের মেমোরি কার্ড গছিয়ে দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার ধর্ষিতার মা লাভলী বেগম তিনজনকে আসামী করে গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ ও পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মজনু এবং সহযোগি জোছনা বেগমকে গ্রেফতার করে। অপর ধর্ষক সোহাগ পলাতক রয়েছে বলে জানান থানা পুলিশ।