গোপালপুরে ঝিনাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোতে স্কুলগামী শিশুদের পারাপার
মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ঝিনাই নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোতে স্কুলগামী শিশুসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ নিত্য পারাপার হন। উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের নবগ্রাম ও নগদাশিমলা ইউনিয়নের জামতৈল গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে এ নদী। দ্বীপের মতো দেখতে জামতৈল গ্রামের তিন দিকে প্রবাহিত ঝিনাই আর এক বিল।
দুইগ্রামে বাস করে পাঁচশতাধিক পরিবার। গ্রামের শত শত শিশু প্রতিদিন নদী পেরিয়ে যাতায়াত করে। পারাপারের মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। নদীর পানি বেড়ে গেলে এ সাঁকোর অনেকটা তলিয়ে যায়। তখন বড়রা হাতল ধরে পারাপার হলেও শিশুরা পড়ে বেকায়দায়। তাদের অতিকষ্টের পারাপার দেখলে যে কারোর বুক কাঁপে। সাঁকো পেরিয়ে আবার ডুবে যাওয়া খেতের আইল ধরে পরনের কাপড় ভিজিয়ে কতোক্ষণ হেটে শিশুদের পাঁকা সড়কে উঠতে হয়। এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে গ্রামের শিশুরা নদী পারাপার ও পড়ালেখা করে। সাঁকো পিঁছলে অনেকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের উত্তর-পশ্চিম দিয়ে একটি সরু মেঠো পথ বনমালী হয়ে নবগ্রাম মোড়ে ঠেকেছে। কিন্তু সেটি অনেক ঘোরাপেচা ও ভাঙ্গাচোরা। বৃষ্টি হলে হাটার উপায় থাকেনা। এজন্য গ্রামবাসির ভরসা এ বাঁশের সাঁকো। গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানান, প্রতিদিন বহু মানুষ এ সাঁকো পেরিয়ে হাটবাজারে যাতায়াত করে। বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের সাঁকো পেরুতে অবর্নণীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গ্রামবাসির দাবি ছিল একটি সেঁতু। নির্বাচন এলে সেঁতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু চার দশকেও কেউ সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে এগিয়ে আসেননি বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে গোপালপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী জাবেদ হোসেন জানান, এসব দুর্গম জায়গায় সরকারের সেঁতু নির্মাণের কথা রয়েছে। এলাকাবাসি যোগাযোগ করলে বিষয়টি দেখা হবে।