গোপালপুরে পরীক্ষায় ডিজিটাল নকলসহ ৮ জনকে আটক করলেন ইউএনও
মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে আলীম পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত বিষয়ে ডিজিটাল উপায়ে অসদুপায় অবলম্বন ও দুস্কর্মে সহযোগিতার অভিযোগে দুই কক্ষ পরিদর্শকসহ ৮জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১১মে) দুপুরে গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বিকাশ বিশ্বাস গোপন সুত্রে খবর পেয়ে গোপালপুর দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে এদের হাতেনাতে আটক করেন।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতে কক্ষ পর্যবেক্ষক সেনেরচর শাহসুফি আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক আব্দুল মান্নান (৪৮) ও বাংলাবাজার সামাদিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক সাইফুদ্দীন (৩৪) কে নকলে সহযোগিতা করার অপরাধে দন্ডবিধির ১৮৬০ ধারায় সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড, পরীক্ষার্থীদের হাউজটিউটর সূতী পূর্বপাড়ার মফিজুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা ও তার সহযোগি গোপালপুর আলীয়া মাদ্রাসার ফাজিল শ্রেণির ছাত্র কোনাবাড়ীর আবু তাহেরের ছেলে আবু বকরকে পাবলিক পরীক্ষা আইনে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৭দিনের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
আলীম পরীক্ষার্থী বেতবাড়ীর হাবিবুর রহমানের ছেলে মোখলেছুর রহমান, বাগুয়ার রুহুল আমীনের ছেলে বদরুল আলম, সেনের মাকুল্লার আবু হানিফের ছেলে আব্দুল জলিল ও সমেশপুরের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে শামীম হোসেনের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদেরকে মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। তবে, তাদেরকে পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ্বাস জানান, ওই চার পরীক্ষার্থী তাদের হাউস টিউটর সোহেল রানার সহযোগিতায় প্রথমে ফেইসবুকে এইচএম নামে একটি গ্রপ তৈরি করেন। পরীক্ষা হল থেকে এন্ড্রোয়েড মোবাইল সেটের ম্যাসেঞ্জারে অপসনে তারা সোহেল রানার নিকট বাইরে প্রশ্নপত্রের কপি পাঠায়। পরে ওই হাউজটিউটর প্রশ্নের সমাধান করে ম্যাসেঞ্জারে উত্তর পাঠিয়ে দেয়। আর চার পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন থেকে তা টুকে নিয়ে উত্তর পত্রে লিখতেছিল। পরীক্ষা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই পরিদর্শক অসাধু পন্থা অবলম্বনে পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছিলেন। সাজাপ্রাপ্তরা ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট দোষ স্বীকার করেন। পরে সাজাপ্রাপ্তদের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।
গোপালপুর দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ড. ফায়জুল আমীন সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।