গোপালপুরে ব্যবসায়ীকে আটকের জেরে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২০
মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
গোপালপুরে মাদক ব্যবসায়ীর অভিযোগে এক মসলা ব্যবসায়ী আটকের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে ছয় পুলিশ ও নারী-শিশুসহ ২০ জন আহত হয়েছে। আহত দুই পুলিশ সদস্যকে গোপালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
আটকরা হলেন, পৌর এলাকার কোনাবাড়ী গ্রামের সুমন ও সোহেল। মাদকের বিক্রির অভিযোগে আটক ব্যবসায়ী হলেন, পৌর এলাকার কোনাবাড়ী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মসলা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম।
রোববার পৌর এলাকার কোনাবাড়ী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে গোপালপুর পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা বলেন, ব্যবসায়ী শফিকুলকে শনিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় গোপালপুর থানা পুলিশ। পরে শফিকুলের স্বজনরা রোববার সকালে তাকে দেখতে থানায় গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে পুলিশ স্বজনদের ওপর লাঠিচার্জ করে থানা থেকে বের করে দেয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামের লোকজন একত্র হয়ে উত্তেজিত হলে পুলিশ পুনরায় কোনাবাড়ী এলাকায় গিয়ে লাঠিচার্জ ও ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে নারী-শিশুসহ প্রায় ২০ জনের মতো আহত হয়। আমার জানামতে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কেউ মাদকসংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেনি।
গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, শনিবার রাতে গোপালপুর পৌর এলাকার কোনাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ শফিকুল নামে এক যুবককে ৩৭ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। তার নামে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। রোববার সকালে শফিকুলের এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় এলাকাবাসীর ইটপাটকেল নিক্ষেপে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যকে গোপালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে উত্তেজিত এলাকাবাসীর দাবি পুলিশ নিরীহ লোকজনকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে গ্রেফতার অভিযান চালায়। কোনাবাড়ী এলাকা থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা কেউই মাদকের সঙ্গে জড়িত নয়।