ঘাটাইলে তিন শিক্ষার্থী গনধর্ষনে দুই আসামীর স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি
মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ, ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে রোববার তিন স্কুলছাত্রী গনধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামি বাবু ( ৩০) ও ইউসুফ (৩৫) টাঙ্গাইল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দী দেন তারা।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সুমন কুমার কর্মকার ও আরিফুল ইসলাম জবানবন্দি রেকর্ড করেন ৷
টাঙ্গাইল জর্জ কোর্টের পিপি এস আকবর খান আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘাটাইলডটকমকে বলেন, ইউসুফ ও বাবু সহযোগী মিলে ওই তিন স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। জবানবন্দি পরে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে রোববার ঘাটাইলে তিন স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা পরবর্তীতে গতকাল সোমবার (২৭ জুলাই) ঘাটাইলের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সন্ধানপুর ইউনিয়নের সাতকুয়া এলাকা থেকে ইফসুফ ও বাবু এবং সুমনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের আজ মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
প্রকাশ: রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঘাটাইলের এসই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির চার ছাত্রী দুই ছেলে বন্ধুকে নিয়ে ঝড়কা এলাকায় ঘুরতে যায়। এ সময় পাঁচ-সাতজন ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে। সেসময় দুই ছেলে বন্ধু হৃদয় ও শাহীনকে মারধর করে তিনজনকে ধর্ষণ করে তারা। ভাগ্নির মতো দেখা যায় বলে একজনকে ধর্ষণ করা থেকে বিরত থাকে ধর্ষকরা। রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত আটকে রেখে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। পরে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো হলে তারা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ চার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে এক ধর্ষিতার বাবা মোঃ আবুল কাশেম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে ঘাটাইল থানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। পরে সোমবার (২৭ জুলাই) ঘাটাইলের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সন্ধানপুর ইউনিয়নের সাতকুয়া এলাকা থেকে ইফসুফ ও বাবু এবং সুমনকে আটক করে পুলিশ।