ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনমতে এগিয়ে আরিফ
মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ, ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
সারাদেশের ন্যায় স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদের ইসির চতুর্থ পর্যায় অনুযায়ী টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানান দিচ্ছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যম কর্মী ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকেই আগাম শুভেচ্ছা ও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম খান সামু ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন মুহাম্মদ আরিফ হোসেন। সামু খান এ উপজেলায় তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা তেমন ভাল নয় বলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে আগ্রহী নন, তাই ভাইস-চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আরিফ হোসেন কে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিতে বলেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ও ২য় ধাপে তফসিল ঘোষণা হওয়ার আগেই টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় নেতাদের নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে ঘাটাইল উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগও আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের মুখে বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আরিফ হোসেনের নাম সর্বাধিক আলোচনায় উঠে এসেছে। জনজরিপেও এগিয়ে রয়েছেন তিনি। উপজেলা নির্বাচনে তিনিই নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হবেন এমনটি প্রত্যাশা করছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শামছুর রহমান খানের হাতেই তার রাজনীতির হাতেখড়ি। তিনি বৃহত্তম ধলাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। সেই থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত খান পরিবারের ঘাটাইলের ত্যাগী কান্ডারী ভাইস-চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ ঘাটাইল উপজেলা শাখার সম্মানীত সভাপতি। সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা পরিষদ ঘাটাইল।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে মুহাম্মদ আরিফ হোসেনকে নিয়ে রীতিমত সারা পড়েছে সারা ঘাটাইলে দলীয় নেতাকর্মী ও তার অনুসারীদের মধ্যে। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তারা দলীয়ভাবে নৌকা প্রতীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে দেখতে চান উপজেলাবাসী।
ছাত্রজীবন থেকেই মুহাম্মদ আরিফ হোসেন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় কর্মী থেকে জননেতার পরিচিতি লাভ করেছেন এবং খান পরিবারের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত। দুদির্নেও তিনি হাল ছাড়েননি দল থেকে তিনি কখনো বিচ্যুত হননি। কোন প্রকার লোভ লালসা তাকে ঘ্রাস করেনি। জননন্দিনত সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার বিশ্বস্থ ও সদ্য-নিবার্চিত সাংসদ আতাউর রহমান খান এর আস্থাভাজন। সবসময় তিনি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। ঘাটাইলের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড,পাড়া-মহল্লায়,ইউনিয়নে চলছে তার বিরামহীন গনসংযোগ।
এবার তিনিই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হবেন এমনটিই প্রত্যাশা করেন ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বস্তরের জনগনের যে সাড়া পাচ্ছি তাতে দল যদি আমাকে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী করেন তাহলে দল-বল নির্বিশেষে খুব সহজেই জয় লাভ করতে পারব ইনশাল্লাহ্। তাছাড়া আমি বর্তমানে নির্বাচিত উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আমার একটা দায়বদ্ধতা আছে আমাকে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে আমার আদর্শিক জায়গা থেকে মুক্তিযুদ্ধের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পক্ষে এবং বাংলাদেশ সরকারের একজন নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে ঘাটাইল উপজেলার পিছিয়ে পড়া জনগনের জন্য কাজ করতে চাই। বর্তমান সরকার উন্নয়নের একটা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করার সুযোগ ঘাটাইলের জনগণ আমাকে দিবে আমি বিশ্বাস করি। উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ ৪৫০.৭১ বর্গ কিঃমিঃ আয়তন, ১টি পৌরসভা, ১৪ টি ইউনিয়ন, ৪ লাখ ২৪ হাজার ৯০৫ জন জনসংখ্যা এবং ৪২৬টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।