চলে গেলেন প্রখ্যাত অভিনেতা শশী কাপুর
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
মারা গেলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের প্রখ্যাত অভিনেতা শশী কাপুর। বর্ষীয়ান এই অভিনেতার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। সোমবার বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিশিষ্ট এই অভিনেতা।
চেস্ট ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়েই ৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ রবিবারই মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। আর তারপর সোমবারই মত্যু হলো তাঁর।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বাইপাস সার্জারির পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন শশী কাপুর।
১৯৩৮ সালের ১৮ মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহন করেন শশী কাপুর। বাবা পৃথ্বীরাজ কাপুর ও মা রামসর্নি কাপুর। অভিনয় জগতের দিকপাল পুরুষ পৃথ্বীরাজ কাপুরের কনিষ্ঠ সন্তান শশীর রক্তে ছিল অভিনয়। দাদা রাজ কাপুর ও শাম্মি কাপুরের সুযোগ্য ভাই ছিলেন তিনি।
শুধু পারিবারিক পরিচয়ই নয়, নিজ অভিনয় প্রতিভার গুণেই চলচ্চিত্র জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্রের মধ্যে তিনি ছিলেন পূর্নিমার শশী। ১৯৪০ সালে কমার্শিয়াল ছবির হাত ধরেই রূপোলি পর্দায় আগমন বিখ্যাত এই অভিনেতার।
১৯৫০ সালে ‘সংগ্রাম’ এবং ১৯৫৩ সালে ‘দানা পানি’ ছবিতে শিশু চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর ১৯৬৩ সালে ‘ধর্মপুত্র’ সিনেমায় প্রথম মুখ্য চরিত্রে আভিনয় করেন শশী কাপুর।
মোট ১১৬ টি ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন বিশিষ্ট এই অভিনেতা।
‘দিওয়ার’, ‘শর্মিলি’, ‘যব যব ফুল খিলে’, ‘কভি কভি’, ‘সিলসিলা’, ‘নমকহালাল’, ‘ওয়াক্ত’, ‘চোরি মেরা কাম’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’, ‘বসেরা’, ‘আ গলে লগ যা’, ‘ফকিরা’, ‘রোটি কাপড়া অউর মকান’, ‘শান’, ‘চোর মচায়ে শোর’, ‘কন্যদান’, ‘চার দিওয়ারি’, ‘মেহেন্দি লাগি মেরে হাত’, ‘মহব্বত ইসকো কেহতে হ্যায়’- এর মতো একের পর এক জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেপ্রেমীদের।
শুধুমাত্র হিন্দি ছবিতেই নয়, ইংরেজি ছবিতেও সমান পারদর্শিতায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। ২০১১ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষন সম্মান দেন। এরপর ২০১৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে সম্মানেও সম্মানিত করা হয় তাঁকে।
এছাড়াও ১৯৮৬ সালে ‘নিউ দিল্লি টাইমসের’ জন্য সেরা অভিনেতা হিসাবে জাতীয় পুরষ্কার পান। এছাড়া প্রযোজক হিসাবে তিনি বিশেষ সাফল্য পান। তাঁর প্রযোজনায় মুক্তি পেয়েছিল ‘কালয়ুগ’, ‘৩৬ চৌরঙ্গি লেন’, ‘বিজেতা’, ‘উৎসব’-এর মতো একের পর এক জনপ্রিয় ছবি।
সবকিছুর অবসান। পূর্নিমার পরের দিনই বলিউডের আকাশ থেকে হারিয়ে গেলেন স্নিগ্ধ শশী। চিরতরে। চলে গেলেন তিনি, কিন্তু রেখে গেলেন তাঁর অসাধারণ সৃষ্টি।