চার দিন পরও বের হচ্ছে ধোঁয়া আংশিক খুলেছে পাকা মার্কেট
নিজস্ব প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম
রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের চার দিন পরও ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। আজ শুক্রবারও ডাম্পিংয়ের (আগুন তল্লাশি) কাজ করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এদিকে উচ্ছেদের আতঙ্কে থাকা ব্যবসায়ীরা কম ক্ষতিগ্রস্ত পাকা মার্কেটের একাংশ খুলেছেন। জুমার নামাজের পর সেখানকার পশ্চিম অংশে ৪০-৪৫টি দোকানে বেচাকেনা শুরু হয়। একই সঙ্গে এ মার্কেটের অংশে পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র সরানোর কাজও চলে। ধসে পড়া কাঁচা মার্কেটের কিছু অংশে ধোঁয়ার মধ্যে চলছিল অগ্নিনির্বাপণের কাজ। তবে এ পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।
গত মঙ্গলবার গঠন করা এই কমিটির সাত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের পাশেই মার্কেট খোলার ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তালাল রিজভী বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পাকা মার্কেটের ২০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জুমার নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএনসিসি মার্কেট খোলা হয়েছে। ৪০ শতাংশ দোকান চালু হয়েছে। বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। এই মুহূর্তে মার্কেটে বিদ্যুত্ নেই। বাইরে থেকে বিদ্যুত্ এনে বা জেনারেটরের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, ধসে পড়া কাঁচা মার্কেটের পেছনের অংশে পে-লোডার দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে। সেখানে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ধসে পড়া কাঁচা মার্কেটের ভেতরে আগুন দেখা না গেলেও ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পানি ছিটাচ্ছেন।
আজ বিকেলে ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট পরিদর্শন করেন। পাকা মার্কেটের চালু হওয়া অংশও তিনি ঘুরে দেখেন। মেয়র ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও কথা বলেন। মার্কেট পরিদর্শন শেষে আনিসুল হক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের কোনো সংঘাত নেই। যেহেতু মার্কেট আগুনে অনেক গরম হয়ে গেছে তাই আরো কিছু সময় নিয়ে খুললে ভালো হতো। এখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ব্যবসায়ীদেরই তো দায়িত্ব নিতে হবে।