টানা বর্ষনে খানসামার রবি শস্য চাষীরা মহাবিপাকে
দিনাজপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টানা কয়েক দিনের বর্ষনে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রবি শস্য চাষীরা মহা বিপাকে পড়েছে। এ উপজেলার রবি মৌসুমের প্রধান ফসল ভুট্টা, রসূন, গম, পেঁয়াজ। এখন চৈত্র মাস। রবি শস্য ঘরে তোলার সময়। ঠিক এই সময়েই বৈরি আবহাওয়া। ফলে চাষীরা তাদের ভু্ট্টা সংগ্রহ করতে পারছেনা। ভুট্টার মোঁচা গাছ থেকে সংগ্রহ করা না হলে কালো হয়ে যাবে। কিছু ক্ষেত্র মোঁচা থেকে চারা গাছ বের হচ্ছে। ভুট্টা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় না শুকানো হলে খৈ ফুটবে না। তখন এ ভুট্টা গো- খাদ্য ছাড়া আর কিছু হবে না। এদিকে গম তোলার চুড়ান্ত সময় হলেও গম কাটা এবং ঝড়াতে পারছেনা কৃষকরা। গম ক্ষেতেই গম দেখা যাচ্ছে। কোন মাঠে গম মাটিতে শুয়ে পড়েছে। রসূন শুকানো সম্ভব হচ্ছে না। গাছ সহ রসূন সংগ্রহ ছাড়া রসূনের বীজ রাখা যায় না। এ অবস্থায় প্রতিদিন স্তুপ করে রাখা হচ্ছে আবার খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন রসূনের স্তুপ খুলে রোদে শুকানো না হলে রসূন গাছ পঁচে যাবে এবং রসূনে সমস্যা দেখা যাবে। হাসিম পুরের রসূন চাষী পুলিন, বারেক, মজিদ, নিরান, তপন, রমানাথ, মাহতাব হাজী, চৈতা রাম প্রমুখের সাথে ককথা বলে যানা যায়, আবহাওয়া বৈরির কারনে মজুর খরচ বেশী পড়ছে। তবুও ফসল নিশ্চিন্তে ঘরে তুলতে পারছে না। অন্য দিকে পেঁয়াজের অবস্থা আরো বেহাল। পেঁয়াজের জমিতে পানি জমে আছে। ফলে পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা গেছে। আবার কৃষক পেঁয়াজ মাঠ থেকে ওঠাতেও পারছেনা। কারন পেঁয়াজ ভালো করে না শুকিয়ে সংরক্ষন করা যায় না। ছাতীয়ান গড়ের পেঁয়াজ চাষী সরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ডালিম কুমার জানান, তার ৫০ শতকের ১ বিঘা পেয়াজ ক্ষেতে আজ সাত দিন যাবত পানি বন্দী হয়ে আছে। পানি অন্য দিকে সেঁচে কিংবা বের করে দেওয়ার কোন উপায় নেই। আকাশে রোদ না থাকার কারনে পেঁয়াজ তুলতেও পারছেন না। কৃষকরা দিন গুনছেন কবে আবহাওয়া ভালো হবে, কবে তাদের পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলতে পারবে। এ নিয়ে কৃষকদের উদ্বেগ উৎকন্ঠার অন্ত নাই।