চিটাগংকে হারিয়ে কুমিল্লা শীর্ষে
দুই বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বৃহস্পতিবার বিআরবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচেও হারলো ঘরের দল চিটাগং ভাইকিংস। ১৩৭ রানের লক্ষ্য ভেদে শেষ দিকে চাপা উত্তেজনা থাকলেও মাশরাফির দল কক্ষপথেই ছিল। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন পাকিস্তানি তারকা শোয়েব মালিক। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৪ রান করে। ২৩ বলের ইনিংসে চার ছিল মাত্র দুটি। আর তার ছক্কাটিই কুমিল্লার ইনিংসের একমাত্র ছক্কা। এ জয়ে কুমিল্লা দল বরিশালকে টপকে শীর্ষে উঠে গেল। দুদলের পয়েন্টই ১০। অবশ্য বরিশাল এক খেলা কম খেলেছে। আট খেলায় চিটাগং ভাইকিংসের এটি ষষ্ঠ হার।
৩ রানে লিটন কুমার দাস আউট হলেও দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল-শেহজাদ ৫২ ও তৃতীয় উইকেটে শোয়েব-শেহজাদ ৩৯ রান তুলে লক্ষ্য সহজ করে দেন। পাকিস্তানি শেহজাদ ৪১ বলে ৩৭ রান করে স্বদেশী বিলাওয়াল ভাট্টির বলে আউট হন। চারটি চার ছিল তার ইনিংসে। এর আগে রান নিতে যাওয়া ইমরুল কায়েসকে ল্যাঙ মেরে ফেলে দিয়ে পাঁচ রান জরিমানা পাইয়ে দেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকটোর তিলকারতেœ দিলশান। ইমরুল দিলশানের বলেই আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৩৫ রান করেন।
ব্যাট হাতে শুরুর দৃঢ়তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি ভাইকিংরা। ১৩৬ রানে থামে চিটাগং ভাইকিংসের ইনিংস। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট হাতে উড়ন্ত সূচনা দেখিয়েছিল চিটাগং ভাইকিংস। ৬ ওভার শেষে চিটাগংয়ের সংগ্রহ ছিল ৪৩/০। তামিম ইকবাল ও লঙ্কান তারকা তিলকরতেœ দিলশান গড়েন ৫১ রানের ওপেনিং জুটি। টস জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ব্যট তুলে দিয়েছিলেন তামিমদের হাতে। ব্যক্তিগত ২৭ রানে উইকেট দেন ভাইকিংস অধিনায়ক তামিম। পরে দিলশানের বিদায়ে ৭৮/৩ সংগ্রহ নিয়ে চাপ বাড়ে ভাইকিংসের ওপর। তবে পাকিস্তানি মিডলঅর্ঢার ব্যাটসম্যান উমর আকমলের ৩৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংসে বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখছিলেন চিটাগং সমর্থকরা। তবে কুমিল্লার লঙ্কান পেসার নুয়ান কুলাসেকেরা শেষ ওভারে দেন মাত্রই ৪ রান। আসরে সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচাতে জয়ের বিকল্প ছিল না চিটাগং ভাইকিংসের। এ হারে সেমিফাইনাল খেলার সম্ভানা আরও ফিঁকে হয়ে গেল।