চিটার পুত্রবধূ ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে: দিলদার আহমেদ সেলিম

 

অনলাইন ডেস্ক  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

হোটেল রেইনট্রিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে রাতভর অস্ত্রের মুখে গণধর্ষণের বিষয়টা বেমালুম অস্বীকার করে উল্টো এ ঘটনাটিকে ‘সাজানো’ বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলদার আহমেদ সেলিম।

দিলদার আহমেদ দাবি করেন,‘আমার চিটার পুত্রবধূ পিয়াসা এই ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে।’ ‘আমার ছেলে না বুঝে পিয়াসাকে বিয়ে করে ফেলেছিল। পিয়াসা এই শহরের অনেক প্রভাবশালীর রক্ষিতা ছিল। একটা রক্ষিতা মেয়েকে আমি কি বউ বানাতে পারি? আমি একটা গরীব মেয়েকে আমার ছেলের বউ বানাতে পারি। আমার এ কথাগুলো আপনারা সাংবাদিকরা যাচাই করেন। এটা সঠিক কিনা।’

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে আরেকটা ডকুমেন্টস আছে। সে (পিয়াসা) এশিয়ান টিভির ডাইরেক্টর বলে পরিচয় দিত। সে ভুয়া ডাইরেক্টর। সে ভুয়া ডাইরেক্টরের কার্ড ছাপিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ম্যানেজার বলছে মেয়েগুলো নাকি সকালে হাসি মুখে সেখান থেকে বের হয়েছে। তাহলে একটা প্রশ্ন আসে তারা কি ধর্ষিতা নাকি পতিতা? বের হওয়ার সময় তারা ম্যানেজারের নিকট অভিযোগ করতে পারত, নয়তো থানায় গিয়ে মামলা করতে পারত। ১ মাস ৭ দিন পরে কেন মামলা হলো। আসলে ধর্ষণের পুরো ঘটনা আমার চিটার বউ সাজিয়েছে। আমার চিটার বউ থানায় গিয়ে নিজের খালাত বোন পরিচয় দিয়ে মামলা করিয়েছে।’

পিয়াসাকে উদ্দেশ্য করে দিলদার আহমেদ বলেন, ‘একটা মেয়ে ১৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। যার কোনো চাকরি নাই, ইনকামও নাই! তাহলে সে কী করে একটা বাসাবাড়িতে থাকে? প্রতিমাসে তার ২ লাখ টাকা খরচ হয়। এ টাকার উৎস কোথায়? তারা বাবাও কোনো ধনী লোক না? সে টাকা কোথায় পেল?’

‘আমি বলবো, এরা তো জঙ্গি না, এরা হচ্ছে বড় লোকের ছেলে। এদের কি রেপ করা লাগে,’ এমন মন্তব্য করেন এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

ভিকটিমদের উদ্দেশ্য করে দিলদার বলেন, ‘তুমি সারারাত হোটেলে থাক, তোমার অভিভাবক নাই? বাবার কাছেও গিয়া বললা না, মার কাছেও বললা না, আমাদের ধর্ষণ করা হইছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!