চিরিরবন্দরে গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক আটক
ভূপেন্দ্র নাথ রায়, দিনাজপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ভাড়া বাসায় ভারাটিয়া গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এবং অপর আর একজনকে আহত করে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা ঘাতককে আটক করেছে । ২৯ জানুয়ারী সোমবার বিকাল ৩টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরের পার্শ্বে নির্বাচন অফিসের পিছনে অবসর প্রাপ্ত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা তাজিম উদ্দীনের বাসায় ঘটনাটি ঘটে। চিরিরবন্দর সেটেলমেন্ট অফিসের সহকারী আমিনুর রশীদ বকুল গত ২০১৬ সাল হতে ওই বাসায় ভাড়া থাকতো। ঘটনার দিন দুপুরে বকুল খাওয়ার পর অফিসে কাজকর্ম করা অবস্থায় শুনতে পায় তার বাসায় কে বা কারা হামলা চালাচ্ছে। অফিস থেকে দৌড়ে গিয়ে দেখে তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন মুন্নী (২২) ও তার শ্যালিকা ফাতেমা খাতুন সোনিয়া (১৮) রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ঘরের মেঝে পড়ে আছে। স্থানীয় জনতার সহায়তায় মুন্নী ও সোনিয়াকে স্খানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মর্তুজা আল মামুন মুন্নীকে মৃত বলে ঘোষনা করে ও গুরুতর আহত সোনিয়াকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে। আমিনুর রশীদ বকুল জানায়, গত দু’মাস আগে তার শ্যালিকার সাথে ঘাতক আব্দুল্লাহ শুভর ফেসবুকের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোনিয়া শশুর বাড়ী কুমিল্লায় গেলে শুভর পূর্বের স্ত্রী ও সন্তান থাকায় প্রতারক স্বামী শুভকে তালাক দেয়। তালাকের পর হতে সোনিয়া বাবার বাড়ী পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সাহেব জোত এলাকায় থাকতো। ঘটনার কয়েকদিন আগে সে আমার বাসায় আসে। ঘটনার বিষয়ে এলাকাবাসীর অনেকে জানায়, দুপুরে ওই বাসায় তিন যুবককে প্রবেশ করতে দেখে কিছুক্ষন পর বাড়ী হতে চিৎকার ভেসে আসলে প্রতিবেশীরা বাসায় ঢুকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে ও ঘাতকদের আটকের চেষ্টা করলে দুইজন পালিয়ে যায় ও একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে চিরিরবন্দল থানার অফিসার ইনচার্জ হারেসুল ইসলাম জানান, নিহত মুন্নীর সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক ঘাতক শুভকে জিজ্ঞাবাদের পর প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।