এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের গণধর্ষণ
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর টিলাগড়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত এসব কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিত তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ঘুরতে আসেন। ঘুরার এক পর্যায়ে রাত ৮ টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এসময় কয়েকজন যুবক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চান। এতে তরুণীর স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোর শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এক পর্যায়ে তরুণী ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের হোস্টেলে নিয়ে যান। সেখানে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রলীগের তিন-চারজন নেতাকর্মী তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এসময় তাদের সাথে থাকা ৯০ টি মডেলের একটি কারও ছিনিয়ে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে কারটি তাদের জিম্মায় নেয় এবং তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে প্রেরণ করে।
ঘটনার ব্যাপারে শ্রীকান্ত ছাত্রাবাসের হোস্টেল সুপার ও পলিটিক্যাল সায়েন্সের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জীবন কৃষ্ণ আচার্য্য বলেন, ঘটনা শোনার পরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ-র্যাব-৯ এর সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর পুলিশ ধর্ষিত তরুণীর বক্তব্যে রেকর্ড করে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে প্রেরণ করে।
হোস্টেল বন্ধ অবস্থায় অভিযুক্তরা কিভাবে হোস্টেলে প্রবেশ করলো; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে হোস্টেল বন্ধ থাকলে আনঅফিসিয়ালি কিছু ছাত্র হোস্টেলে রয়ে গেছে। যারা টিউশনি করে এমন ছাত্ররা থাকে। তবে অভিযুক্তরা আমাদের কলেজের ছাত্ররা কি-না সেটা কালকে যাচাই-বাছাই করে জানাতে পারবো। আর আমাদের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এটিও শনিবার বলতে পারবো।
এদিকে ঘটনার পরপর র্যাব-৯ সিলেটের এএসপি সামিউল আলম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।