ছাত্রলীগের পিটুনির শিকার মাদ্রাসা সুপার
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
হাটহাজারীতে শিবিরের প্রচারপত্র বিলি করার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর গণপিটুনির শিকার হয়েছেন মাদ্রাসা সুপার ফরিদুল আলম (৫৫)। তিনি উপজেলার ধলই ইউনিয়নের এনায়েতপুর এলাকার বায়তুশ শরফ আদর্শ মাদ্রাসার সুপার।
বৃহস্পতিবার আনুমানিক বিকাল ৩টায় উপজেলা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগ জঙ্গিবাদবিরোধী একটি র্যালি বের করে। এ সময় উপজেলা সংলগ্ন কলেজ গেইট এলাকায় শিবিরের প্রচারপত্র বিলি করার অভিযোগ এনে অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ওই মাদ্রসার সুপার মাওলানা ফরিদকে ধরে বেধরক পিটুনি দেয়। একপর্যায়ে তার শরীরে থাকা কাপড়-চোপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ নির্যাতিত ওই মাদ্রাসা সুপারকে উদ্ধার করে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুর রহমান রাসেল যুগান্তরকে মোবাইলফোনে জানান, উপজেলা সম্মুখে দুপুরে আমরা একটি জঙ্গিবাদবিরোধী র্যালি বের করার প্রাক্কালে মাওলানা ফরিদকে শিবিরের প্রচারপত্র বিলি করতে দেখে হাতেনাতে আটক করে ছাত্রলীগকর্মীরা। পরে গণপিটুনি দিয়ে তাকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়। এ সময় তার ব্যাগ থেকে জামায়াত-শিবিরের সদস্যফর্ম ও কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
এদিকে পুলিশ হেফাজতে থাকা মাদ্রাসা সুপার ফরিদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এছাড়া প্রচারপত্র বিলির কথাটি অস্বীকার করে তিনি বলেন, সারা দেশের ন্যায় আমি আমার মাদ্রাসায় স্টুডেন্ট কেবিনেটের নির্বাচন শেষে ফলাফল বিবরণীর তালিকা জমা দেয়ার জন্য উপজেলায় শিক্ষা অফিসে যাচ্ছিলাম। এ সময় তারা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি ষড়যন্ত্রেরর শিকার।বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর মোবাইলফোনে যুগান্তরকে বলেন, তদন্ত চলছে, তদন্ত করে দেখি কিছু পাওয়া যায় কিনা।