ছিনতাইকারীদের গুলিতে প্রাণ গেলো নববধূর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
মাত্র চার ঘণ্টা আগে বিয়ে করেছেন। বিয়েতে ‘অনেক আত্মীয়স্বজনের’ ভিড়ে নববধূকে দেখার সুযোগ পাননি। কিন্তু যখন প্রথমবারের মতো নিজের স্ত্রীকে দেখলেন তখন তিনি শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছিলেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
গেলো শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের মিরুতের নাহাল গ্রামের মেয়ে ফারহানাকে বিয়ে করেন মোহাম্মদ। বিয়ে বাড়ির আনুষ্ঠানিকতা শেষে বরযাত্রীরা সাহারানপুরে যাচ্ছিল। তারা দাউরালার কাছে একটি টোল বুথ পার করার সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে চারজন ছিনতাইকারী তাদের ওপর হামলা চালায়। ছিনতাইকারীরা ফারহানাকে গুলি করে তাদের সঙ্গে থাকা গয়না ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ফারহানাকে দ্রুত বেঘরাজপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে নেয়ার পর ডাক্তাররা ফারহানাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাহারানপুরে শনিবার নিজের বাড়িতে বসে মোহাম্মদ বলেন, দুবৃর্ত্তরা আমাদের দিকে বন্দুক তাক করে আমার বোন ও তার স্বামীকে গাড়ি থেকে নামতে বলে। আমিও তাদের সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে যাই। আমরা খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমার ভাগ্নি ও স্ত্রী গাড়িতে ঢুকে যায়। ওই ব্যক্তিরা সবকিছু নিয়ে যায়। আমি জানি না তারা কেন আমার স্ত্রীকে গুলি করলো।
পেশায় ট্রাকচালক মোহাম্মদ আরও বলেন, আমরা প্রায় ১৫০ জন নাহাল গিয়েছিলাম। বিয়ের কাজ রাত ৭টার দিকে শেষ হয়ে যায়। অন্যান্য অতিথিরা ভিন্ন গাড়িতে করে মুজাফফরনগরের দিকে রওনা দেয়।
শনিবার ফারহানার বাবা ফরমান আলি বলেন, গতকাল ৭টায় আমার মেয়েকে নতুন যাত্রার জন্য বিদায় দিয়েছিলাম। একদিন পর আমি তাকে দাফন করছি। আমাদের ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা খুব গরীব। এটি একটি কমিউনিটি ম্যারেজের অংশ ছিল। আমাদের এই বিয়েতে খরচ করার মতো সামর্থ্য ছিল না।
এদিকে দাউরালা পুলিশ এ ঘটনায় একটি হত্যা ও ডাকাতির মামলা করেছে। দাউরালা পুলিশ স্টেশনের অফিসার মানোজ কুমার মিশ্র বলেছেন, তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সেটা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে।