আজ একজন প্রেসিডেন্ট জিয়ার খুব প্রয়োজন
আজ একজন প্রেসিডেন্ট জিয়ার খুব প্রয়োজন
নজরুল ইসলাম নাহিদ
আজ একজন জিয়াউর রহমানের খুব বেশি প্রয়োজন। সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রয়োজন এখন কতোটা বেশি আমরা বাংলাদেশীরা তা হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণে বার বার সিক্ত হয়ে চোখের অশ্রু ঝরিয়ে উপলব্ধি করছি।
১৯৭১ সালের মার্চে সঙ্কট যখন ঘনীভূত হয়। জাতি যখন দিশেহারা। যাদের নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল তারা যখন আপোষের শিকল স্বেচ্ছায় পড়ে সুখনিদ্রায় দিনাতিপাত করছিল পাকিস্তানের অজানা জায়গায়। তখন চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জীবন বাজি রেখে বাঘের ন্যায় গর্জে ওঠে আওয়াজ দিয়েছিলেন ‘ আমি মেজর জিয়াউর রহমান বলছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করছি।‘ তৎকালীন চৌকষ সেনা অফিসার মেজর জিয়াউর রহমানের মুখে স্বাধীনতার ঘোষণায় গর্জে ওঠেছিল বাংলাদেশ। আমরা পেয়েছিলাম মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
১৯৭৫ সালে দেশ যখন আবারো অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে চলেছিল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যখন নিজেদের মধ্যে হালুয়া রুটির ভাগভাটোয়ার নিয়ে খুনোখুনিতে ব্যস্ত। তখন দেশপ্রেমিক সিপাহী জনতা প্রয়োজনবোধ করেছিলেন স্বাধীনতার ডাক দেয়া সেই বীর পুরুষ বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের। সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ দেখল অভূতপূর্ব এক বিপ্লব। যা পৃথিবীর ইতিহাসে এখনও বিস্ময়। জনগণ ক্ষমতায় নিয়ে এলেন তাদের প্রিয় নেতা জিয়াউর রহমানকে। দেশ যখন অন্ধকারে পতিত হওয়ার উপক্রম হয় তখনই প্রয়োজন পড়ে জিয়াউর রহমানের।
১৯৭৮ সালে বার্মিজ সেনারা যখন রোহিঙ্গাদের সেদেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলো তখন আবারো রোহিঙ্গাদের ত্রাতা হয়ে হাজির হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সে সময় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দক্ষ ও সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্ঠায় ১৯৭৯ সালে মিয়ানমারের জান্তা আর্মি সরকার বাধ্য হয়েছিল রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে। জিয়াউর রহমান শিখিয়ে গিয়েছিলেন নতজানু হয়ে নয় মাথা উচু করে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে উচ্চ স্বরে কথা বলতে হয়। কিন্তু হায় বাংলাদেশ! কি দূর্ভাগ্য আমাদের। হাসিনা সরকারের নতজানু নীতির কারণে আজ ৮ লক্ষ রোহিঙ্গাকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে…. গভীর সঙ্কটে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি।
১৯৯২ সালেও গণতন্ত্রের আজন্ম যোদ্ধা তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলেও মিয়ানমার একইভাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু দেশনেত্রীর দূরদর্শীতা আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেখানো ও শেখানো পররাষ্ট্রনীতিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকার বাধ্য হয়েছিল রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে। বার বার প্রমাণিত , স্বাধীনতার মহান ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবার ও বিএনপিই পারে সঙ্কটে ত্রাতা হতে।
আজ মিয়ানমারের হেলিকপ্টার ১৭ বার বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করলেও নিথর সরকারের ঘুম ভাঙে না। যেনো তারা বধির- বোবা হয়ে আছে। জনগণের ভোট ছাড়া জোর করে ক্ষমতায় থাকার কারণে আজ আমাদের অকৃত্রিম মিত্ররাও হাসিনা সরকারের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আজ প্রয়োজন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেখানো ও শেখানো আদর্শের বাস্তবায়ন। ক্ষমতায় প্রয়োজন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী সাবেক তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াই পারে এই রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের।
আমরা ছাত্রদলের কর্মীরা প্রস্তুত আছি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই লড়াইয়ে। কেননা, ম্যাডাম জিয়ার মনোবল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আন্দোলনের দাবানল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আসুন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে শক্তিশালী করে ম্যাডাম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার জননেতা জনাব তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করি।
লেখক: ১ নং সহ-সভাপতি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।