জামিন না পেয়ে বিচারকের দিকে জুতা ছুড়ল আসামি!
আইন-আদালত ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আজ রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এ জামিন না পেয়ে এক আসামি কাঠগড়া থেকে বিচারকের দিকে জুতা ছুড়ে মেরেছেন।
জানা যায়, বিচারক জেসমিন আরা বেগম এজলাসে বসে বিচারকার্য পরিচালনা করছিলেন, তখন কাঠগড়ায় থাকা মো. শামীম খন্দকার (২৪) নামে এক আসামি দুপুর ১২টার দিকে তার পায়ের জুতা খুলে বিচারকের দিকে ছুড়ে মারে। যা বিচারকের পাশে বসে থাকা কর্মচারির পাশে আঘাত করে।
আদালতে উপস্থিত বিচারক, আদালতের কর্মচারি, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা হতবাক হয়ে যান। ওই ঘটনার পর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা ওই আসামিকে ধমক দিতে থাকা অবস্থায় বিচারক বলেন, ‘আপনারা থামেন, শুনি কেন সে এমন কাজ করলো?’
তখন ওই আসামি জানায়, ‘আপনি ৫ বছর ধরে আমাকে জামিন দেন না। অনেক আগে আমি জামিনের জন্য ৮ হাজার টাকা দিয়েছি। এরপরও আমার জামিন হয় নাই। কাকে টাকা দিয়েছেন বিচারকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওই আসামি বলেন, যিনি নথি ওঠায় তাকে। ঠিক আছে আমি দেখবো বলে এরপর বিচারক নথি পর্যালোচনা করে বলেন, ‘আপনি তো মামলায় দোষ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। আর আপনিতো অন্য মামলায়ও কারাগারে আছেন। এই আদালতে আপনাকে অনেকদিন পর আনা হয়েছে। আপনার কোন আইনজীবীও নাই। এরপর বিচারক রাষ্ট্রপক্ষকে এই মামলা দ্রুত সাক্ষী হাজির করার তাগিদ দেন এবং আগামী ধার্য তারিখ থেকে এ আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনার নির্দেশ দেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল বারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাটি ঘটে যায়। স্যার (বিচারক) খুব ভাল মানুষ তাই এই ঘটনার ঘটানোর পরও ওই আসামিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
তিনি জানান, ওই আসামির বিরুদ্ধে মাদারীপুর জেলায় একটি হত্যা মামলা বিচারাধীন আছে। ওই মামলায় সে মাদারীপুর কারাগারে থাকায় দীর্ঘদিন তাকে এই ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় নাই। তাই এই মামলায় আমরা কোন সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারি নাই।