টাঙ্গাইলের পৌলী রেল সেতুর সংযোগে মাটি ধ্বস ॥ উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলের সাথে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ
বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় পৌলি নদীর উপর রেল সেতুর এপ্রোচের মাটি প্রায় ২০ ফুট ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রোববার সকাল ছয়টার দিকে স্থানীয়রা রেল সেতুর এপ্রোচ মাটি সরে যেতে দেখে। তারা স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে। এরপর স্থানীয় লোকজন লাল কাপড় টানিয়ে সতর্ক বার্তা প্রদর্শন করে। ঘটনাস্থলে রেলওয়ের স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতির পর্যবেক্ষন করছি। এখানে প্রায় ২০ ফুট গভীর হয়েছে এবং মাটি সরে পড়েছে। ঢাকা থেকে প্রকৌশলী দল আসছে। তারা যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিবে। এ সময় তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে চলমান ফোর লেনের কাজ চলছে।
পৌলি রেল সেতুর কাছে ফোর লেন প্রকল্পের সেতু নির্মানের সময় থেকে সেখানে পানি বাঁধা প্রাপ্ত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে রেল সেতুর উপর। এ কারনে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেল স্টেশন মাষ্টার জালাল উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ৫টার দিকে খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি যমুনা নদীর উপর অবস্থিত কালিহাতি উপজেলার পৌলী রেল ব্রীজ এলাকায় অতিক্রম করার পর পরই পৌলী রেল ব্রিজের ৩০ ফিট এলাকা জুড়ে এপ্রোচ অংশ ধসে পরে। বন্যার পানিতে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
এতে রেল লাইনের নিরাপত্তা জনিত কারনে ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে নীলফারারীর চিলাহাটির থেকে ঢাকাগামী নীলফামারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পরেছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব স্টেশনে ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম স্টেশনে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়ে আছে।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রেল সেতুর কোল ঘেষে অবৈধভাবে বালু উত্তোন করার ফলে এ ঘটনা ঘটে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো: নুরুল আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জানান, এ ঘটনা যদি বালু উত্তোলনের কারনে হয়ে থাকে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।