টাঙ্গাইলে উপজেলা নির্বাচনে আ.লীগ ৮, বিদ্রোহী ও অন্যান্য ৪
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পঞ্চম ধাপে চতুর্থ পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনে টাঙ্গাইলের সবগুলো উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ উপজেলার ৮টিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর ৩টিতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী এবং ১টিতে বিএনপির বহিস্কৃত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর, ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলায় ৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) রাতে উপজেলা পর্যায়ের সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তাগণ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন :- টাঙ্গাইল সদর উপজেলা: জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহজাহান আনছারী (নৌকা) প্রতিকে ৫৯,৯৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি বহিষ্কৃত টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী (ঘোড়া) প্রতিকে ৩৭,৭৯৫ ভোট পেয়েছেন ।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৮০ হাজার ৩৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭৩ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬৫ জন। মোট কেন্দ্র ১২৭টি।
মির্জাপুর উপজেলা: আওয়ামীলীগের প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (নৌকা ) প্রতিকে ৬৮,৮৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপি সদস্য (পদত্যাগপ্রাপ্ত) ফিরোজ হায়দার খান (মোটরসাইকেল) প্রতিকে ৪১,৪৯৯ ভোট পেয়েছেন ।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ২২ হাজার ৭৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৬ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮১২ জন। মোট ভোট কক্ষ ৭৯৫ টি ও মোট কেন্দ্র ১২০টি।
ঘাটাইল উপজেলা: আওয়ামীলীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম লেবু ( নৌকা) প্রতিকে ৬৪,১০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আরিফ হোসেন ( আনারস) প্রতিকে ২৯,৮৮৭ ভোট পেয়েছেন ।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৫ হাজার ২২২ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জন। মোট ভোট কক্ষ ৭৫৫ টি ও মোট কেন্দ্র ১১৭টি।
ভূঞাপুর উপজেলা: আওয়ামীলীগের প্রার্থী আব্দুল হালিম (নৌকা) প্রতিকে ২০,৬৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিরুল ইসলাম তালুকদার (মোটরসাইকেল) প্রতিকে ১৫৯১৪ ভোট পেয়েছেন ।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৪ হাজার ১১৯ জন ও মহিলা ভোটার ৭২ হাজার ২৪৩ জন। মোট ভোট কক্ষ ৩৫৬ টি ও মোট কেন্দ্র ৫৭ টি।
সখীপুর উপজেলা: আওয়ামীলীগের প্রার্থী জুলফিকার হায়দার কামাল (নৌকা) প্রতিকে ৫০,০৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাইদ মিয়া (আনারস) প্রতিকে ৩৬,৪৩৬ ভোট পেয়েছেন।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৯৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৫ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯৮ হাজার ১২ জন। মোট ভোট কক্ষ ৫২৪ টি ও মোট কেন্দ্র ৬৯ টি।
দেলদুয়ার উপজেলা: স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান (আনারস) প্রতিকে ২৬,৯৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামীলীগের প্রার্থী ফজলুল হক (নৌকা) প্রতিকে ১৫,৮৫৭ ভোট পেয়েছেন ।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮০ হাজার ৪৮২ জন ও মহিলা ভোটার ৮০ হাজার ৯১৪ জন। মোট ভোট কক্ষ ৩২৭ টি ও মোট কেন্দ্র ৫৬টি।
কালিহাতী উপজেলা: আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনছার আলী (আনারস) প্রতিকে ৬৬,০২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার (নৌকা) প্রতিকে ২৭,৮৪৯ ভোট পেয়েছেন ।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ৫৫ হাজার ৪০৫ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭০৭ জন। মোট ভোট কক্ষ ৬২০ টি ও মোট কেন্দ্র ১০৮ টি।
বাসাইল উপজেলা: আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম (আনারস) প্রতিকে ৩৫,৩৬১ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী মতিয়ার রহমান গাউস (নৌকা) প্রতিকে ১৩,৫৮৮ ভোট পেয়েছেন ।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৫ হাজার ৩২৩ জন ও মহিলা ভোটার ৬৮ হাজার ৪১৯ জন। মোট ভোট কক্ষ ৩৪১ টি ও মোট কেন্দ্র ৫৩ টি।
নাগরপুর উপজেলা: স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুছ ছামাদ দুলাল (ঘোড়া) প্রতিকে ৩৫,৮৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামীলীগের প্রার্থী কুদরত আলী (নৌকা) প্রতিকে ২৮,৩৭২ ভোট পেয়েছেন ।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৩ জন। মোট ভোট কক্ষ ৬০৫ টি ও মোট কেন্দ্র ৮৫টি।
ধনবাড়ী উপজেলা: আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারুনার রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৪২ হাজার ১৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৯ হাজার ৬৪৮ জন ও মহিলা ভোটার ৭২ হাজার ৪৯২ জন। মোট ভোট কক্ষ ৩৫০ টি ও মোট কেন্দ্র ৫৬টি।
মধপুর উপজেলা: আওয়ামীলীগের প্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৯২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৪ হাজার ১৬ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০৯ জন। মোট ভোট কক্ষ ৫২১ টি ও মোট কেন্দ্র ৮৩টি।
গোপালপুর উপজেলা: আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে।
এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ১০ হাজার ৯৫ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার ৯৩ জন। মোট ভোট কক্ষ ৫১৬ টি ও মোট কেন্দ্র ৭৫ টি।