টাঙ্গাইলে নৌকা বাইচ দেখতে গিয়ে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবি ১শিশুর লাশ উদ্ধার আহত ৬
মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় নৌকা বাইচ দেখতে গিয়ে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবিতে ১ শিশুর লাশ উদ্ধার ও আহত হয়েছে ৬ জন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ফাহিমা (৭) নামের এক শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নিহত ফাহিমা উপজেলার বারাপুষা গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে। এ সময় নৌকার অন্যান্য যাত্রীরা নিরাপদে ফিরলেও আহত হয়েছে ৬ জন। আহতদের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সন্ধায় নাগরপুর সদর ইউনিয়নের পাইশানা বিলে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী কাঠুরী গ্রামের আমিনুর রহমান জানান, পাইশানা বিলে এক নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া নৌকা বাইচ দেখতে নাগরপুর উপজেলা সহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার উৎসুক জনতা রং বেরংগের বাহারি নৌকা নিয়ে ভীর জমায় পাইশানা বিলে। দৌলতপুর উপজেলার টুইটাম গ্রামের মোহাম্মদ আলীর শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া নিয়ে বারাপুষা গ্রামের শিশু বাচ্চা সহ প্রায় শতাধিক দর্শনার্থী নৌকা বাইচ দেখতে যায়। নৌকা বাইচ চলাকালীন ওই নৌকার ছাউনি (ছাদ) ভেঙ্গে যাত্রীসহ নৌকা ডুবে যায়। এ সময় মূহুর্তের মধ্যে নৌকা বাইচের আনন্দ ম্লান হয়ে যায়। আগত দর্শনার্থীর মধ্যে আতংক দেখা দেয়। লোকজন দ্বিকবিদ্বিক ছুটে নিরাপদ আশ্রয় নেয়। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জলিল মিয়া জানান, বারাপুষা গ্রাম থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই একটি শ্যালো নৌকা পাইশানা বিলে নৌকা বাইচ দেখতে আসে। নৌকার ভীতর এবং ছাউনিতে গাদাগাদি করে বসে নৌকা বাইচ উপভোগ করছিল। হঠাৎ নৌকার ছাউনি ভেঙ্গে যাত্রীসহ নৌকাটি ডুবে যায়। সে সময় স্থানীয় অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় সাত বছরের একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ডুবে যাওয়া যাত্রীরা সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠে। সংবাদ পেয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম তিনি জানান প্রশাসনের অনুমতি ব্যাতিরেকে এ নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। এ সময় নাগরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদ দুলাল,নাগরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম কামরুজ্জামান মনিসহ আরও অনেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করনে ।