টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় এমপি রানার দুই দিনের রিমান্ড
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলে দুই যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
গত বুধবার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ এমপি রানাকে ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মাসুম এই আবেদন মঞ্জুর করেন ।
এমপি আমানুর রহমান খান রানা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এমপি রানাকে কাশেমপুর কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয়। পরে তার উপস্থিতিতেই এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন আদালতের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম। আসামি পক্ষের রিমান্ড না মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবি আব্দুল বাকী মিয়াসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবি।
এদিকে মামলার বাদি মৃত্যুবরণ করায় বাদীর স্ত্রী আছিয়া খাতুন আদালতে একটি হলফনামার মাধ্যমে জানান, আমি এই মামলায় সুনির্দিষ্ট আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছি। এ মামলায় আমানুর রহমানকে সন্দেহ করিনা। এ ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নাই।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।
এর আগে ঘাটাইল আমলি আদালতে এমপি রানাকে ঘাটাইল জিবিজি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম গত ৩ মে এই মামলায় এমপি রানাকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ওই আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম রানাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। পরে এমপি রানার আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
দুটি মামলার শুনানি শেষে দুপুরে এমপি রানাকে কড়া পুলিশ পাহারায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।