ডামুড্যা ছাত্রলীগ নেতা থেকে উপ সহকারী প্রকৌশলীর চাঁদা দাবী
সৈয়দ মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
ডামুড্যায় এলজিইডি ২ জন উপ সহকারী প্রকৌশলী বিরুদ্ধে চাঁদার অভিযোগ করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও পূর্ব মাদারীপুর কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক ইমরান। এবং এদের জন্য অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ঠিকাদারা। পাশাপাশি কাজের মনের দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে পারছেন না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে খারাপ আচার করা হয়।
অভিযুক্ত, উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আমিনুর রহমান ও মোঃ আব্দুল মালেক।
গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল পৌণে ১১ টার দিকে ঘুষ দিতে রাজি না হওয়া দুই উপ সহকারী প্রকৌশলী সাথে তর্কাতর্কির হয় বলে যানান পূর্ব মাদারীপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক ইমরান। কিন্তু এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানায় একটি মামলা করেন উপ সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রহমান।
স্থানীয় ও বিভিন্ন ঠিকাদার দের সাথে কথা বলে যানা যায়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ভাবে কাজের মান ভালো হলেও ঘুষ দিতে হয় তাদের। ঘুষ ছাড়া তাদের দিয়ে কোন কাজ করা যায় না। এক নামে সবাই চিনে যে এটা ঘুষের অফিস। গত মঙ্গলবার সকাল পৌণে ১১ টার দিকে ইমরান, রুবেল ও জুলহাস ডামুড্যা উপজেলার এলজিইডি অফিসে যান। এসে উপ সহকারী রুমে গিয়ে সেলাই মেশিন সরবরাহ কৃত এডিবি বিলের কাগজে দেন। তাদের বিলটি করার জন্য বলেন। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র না থাকায় স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার জানান উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আমিনুর রহমান। কিন্তু গত দুই মাস যাবত এই বিলের জন্য ইমরান কেন ঘুরতেছে তা জিগাসা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল। কিন্তু তার উত্তর না দিয়ে বরং আঙ্গুল উঠেয়ে রুবেল কে শাসান মোঃ আমিনুর রহমান। তখন দুই জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
এ ব্যাপারে ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল মাদবর বলেন, আমাদের ছোট ভাই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান ছোট একটি কাজ করেছে। গত দুই মাস যাবত ও বিলের টাকা পাওয়ার জন্য ঘুরতেছে। কাজের বিলটি দিচ্ছিল না। ১০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিল। বিষয়টি জানতে গিয়ে একটি তর্কাতর্কি হয়েছে। আমরা কাউকে মারধর করিনি।
এ ব্যাপারে সরকারি পূর্ব মাদারীপুর কলেজের সভাপতি এনামুল হক ইমরান বলেন, গত দুই মাস আগে আমি এলজিইডির অফিসের এডিবি প্রকল্পের ১০ টি সেলাই মেশিন সরবরাহ করি। দীর্ঘদিন যাবত বিলের জন্য ধর্ণা ধরলেও আমিনুর রহমান বিল দিতে গড়ি মসি করেন। বিলের কাগজ দেখলেই সে এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ছুড়ে ফেলে দিতেন। আমি ব্যাপারটি ইঞ্জিনিয়ার স্যারকে জানালে সে তা দেখবে বলে জানান। তার ওপর বিভিন্ন ভাবে সে দশ হাজার টাকা চাদাদাবী করেন। আমি চাদা দিতে রাজি না হওয়া তার বিল দিচ্ছেন না। মঙ্গলবার সকাল আমি বিলের জন্য গেলে সে এক ই কাজ করেন। তখন উত্তেজনা বসত তর্কবিতর্কের। এ ব্যাপারে আমি চাদাবাজির মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সেলাই মেশিন পাওয়া শিধুলকুড়া ইউনিয়নের আসমা বেগম বলেন, আমি সিঙ্গারের সেলাই মেশিন পেয়েছি গত দুই মাস আগে। আমি গত কাল জানতে পারি এই মেশিনের টাকা এখনও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পান নি। আবার শুনতাছি তারা না এই বিলের জন্য চাদা দাবী করেছে।
উপ সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় তিন জন কে আসামি করে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেন।
তবে এর নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ সহ আরোও সুশীল সমাজের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় জনগণ দাবী জানান।
এ ব্যাপারে উপ সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রহমান কে তার ফোনে ফোন করলে পাওয়া যায় নি।