তাইজুলের দুই বলেই ঢাকার হার
দুটি মাত্রই বল! দুটি বলেই ঘুরে গেল খেলার মোড়। প্রথম বলটিতে ম্যাচে ফিরেছিল বরিশাল বুলস। দ্বিতীয় বলটি ম্যাচই জিতিয়ে দিল বরিশালকে। জয়ের সুবাস পেতে পেতেও হেরে গেল ঢাকা ডায়নামাইটস। শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে ১৮ রানে হারিয়েছে বরিশাল। আগামীকাল দ্বিতীয় কোয়ালাইফায়ারে সাকিবের রংপুরের বিপক্ষে শেষ সুযোগ পাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর দল।
চার ওভারে ৫৪ রান দরকার এমন অবস্থায় বল করতে এসেছিলেন মোহাম্মদ সামি। ওই ওভারে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২০ রান তুলে ফেলেন ম্যালকম ওয়ালার । পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই তাইজুল ইসলামকে ছক্কা হাঁকালেন মোসাদ্দেক হোসেন। ১৬ বলে দরকার ২৭! ম্যাচ তো হেলেই পড়েছিল ঢাকার দিকে। ঠিক এই সময়ে জাদু দেখালেন তাইজুল। পরপর দুই বলে ওয়ালার ও মোসাদ্দেককে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচ বের করে নিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। শেষ দুই ওভারে ধুঁকে ধুঁকে মাত্র ৭ রান তুলে ঢাকা ম্যাচ শেষ করে লক্ষ্য থেকে ১৯ রান দূরে থেকেই।
শুরুতে অবশ্য বোঝা যায়নি এতটা রোমাঞ্চ ছড়াবে এই ম্যাচ। ক্রিস গেইল ও সাব্বির রহমান প্রথম ৬ ওভারেই ৫৩ রান তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু মুস্তাফিজের অসাধারণ এক স্লোয়ারে গেইল ফিরে যাওয়ার পরই রানের স্রোতে বাধা পড়ে বরিশালের। প্রথম ৯ ওভারে ৭৩ রান তোলা বরিশাল শেষ ১১ ওভারে তুলতে পারে মাত্র ৬২ রান। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে সর্বোচ্চ ৪১ রান নেন সাব্বির। আর চার ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে মুস্তাফিজই ছিলেন ঢাকার সেরা বোলার।
কিন্তু আবুল হাসান ও ফরহাদ রেজাকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর জুয়াটা কাজে না লাগায় ঢাকাকে ভুগতে হয়েছে পুরো ইনিংসজুড়ে। আল আমিন হোসেন ও কেভন কুপার মিলে ১৩.৩ ওভারে ৬৯ রানেই ৫ উইকেট ফেলে দিয়েছিল ঢাকার। এরপরই ৪.২ ওভারে ৪১ রান তুলে ঢাকা খেলায় ফিরিয়ে এনেছিল মোসাদ্দেক-ওয়ালার জুটি। কিন্তু তাইজুলের দুই বলেই শেষ হয়ে গেল সেই লড়াই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল বুলস: ২০ ওভারে ১৩৫/৫ (সাব্বির ৪১, মাহমুদউল্লাহ ৩৭, গেইল ৩১, মারুফ ১০; মুস্তাফিজ ২/২১, নাসির ১/৯, নাবিল ১/১৬)। ঢাকা ডায়নামাইটস: ২০ ওভারে ১১৭/৮ (মোসাদ্দেক ২৬, ফরহাদ ২০, ওয়ালার ১৮, নাসির ১৬; আল আমিন ৩/১৫, কুপার ৩/১৭, তাইজুল ২/১৩)।
ফল: বরিশাল ১৮ রানে জয়ী।