ঢাকা টাঙ্গাইল সরাসরি ট্রেনের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীকে তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্মারকলিপি প্রদান
মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
ঢাকা- টাঙ্গাইল সরাসরি ট্রেনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলা অনলাইন ঐক্যজোটের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরন করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের সেচ্ছাসেবী বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপের প্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে ২৪ জুন রবিবার জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন এর হাতে এ স্মারকলিপি পৌছে দেন। এরপর টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় এর হাতে এর প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরনের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ মোঃ আহাদুজ্জামান মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন টাঙ্গাইল পৌরশাখার সভাপতি মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল), বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি টাঙ্গাইল হোমিও মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডাঃ কায়েম উদ্দিন, টাঙ্গাইলবাসীর জীবন যাত্রার সমস্যা ও সম্ভাবনা গ্রুপের এডমিন সামছুর রহমান মিলন, আল-আমিন খান প্রিন্স, এহসান ইসলাম খান, আমাদের টাঙ্গাইল গ্রুপের এডমিন তালাশ খান, প্রিয় টাঙ্গাইল জেলা গ্রুপের এডমিন মীর শামিমুল আলম, মোঃ আল আমিন খান, মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক তনয় কুমার বিশ্বাস, রিবাদ কিরন আকন্দ, লুৎফা, মোঃ এরশাদ, দুলাল চন্দ্র, সহ অন্যান্য প্রতিনিধিগণ। এর পূর্বে টাঙ্গাইল জেলা অনলাইন ঐক্যজোটের আহবানে গত ২১ জুন টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে ট্রেনের দাবীতে একাত্মতা প্রকাশ করে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবী। সেই সাথে ঢাকা- টাঙ্গাইল- ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস কিংবা টাঙ্গাইলের উপড় দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রেনে জেলাবাসীর জন্য ১টি করে আলাদা বগি চালু করার দাবী। রাজধানী ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের মতো। একসময় এ পথ পাড়ি দিতে দুই ঘণ্টার মতো সময়লাগত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের পর উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কর মাধ্যমে। এরপর পাকশী-কুষ্টিয়া সংযোগকারী লালন শাহ সেতু হওয়ার পর দক্ষিণ-পশ্চিমের কয়েকটি জেলার বাস-ট্রাক এ মহাসড়ক ব্যবহার করছে। ফলে এ মহাসড়ক এখন প্রায় ২০টি জেলার গাড়িচলাচল করছে। এতে টাঙ্গাইল জেলার মানুষেরা মহা সমস্যায় পড়ে গেছে। এই ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়িদিতে এখন কত সময় লাগবে, তা আগে থেকে বলার উপায় নেই। তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে। যাত্রীদের ভোগান্তির যেন কোনো অন্ত নেই। এ পথে একটি কমিউটার ট্রেন চলাচল করলে এ সময় অনায়াসে দুই ঘণ্টায় নামিযয়ে আনা সম্ভব। একসময় টাঙ্গাইলে রেলপথ না থাকলেও বঙ্গবন্ধু সেতুর কল্যাণে এখন সেখানে রেলপথ আছে। উত্তরবঙ্গ ও খুলনার বেশ কযয়েকটি ট্রেনও টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। কিন্তু এসব ট্রেনে টাঙ্গাইলের মানুষের পক্ষে আসন পাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ, সেগুলো আগে থেকেই ভরে আসে। আর সকালে ট্রেন ধরে অফিস করা যায়, এমন ট্রেন নেই। এ রকম পরিস্থিতিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল একটি কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালু করা অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে। অন্তত টাঙ্গাইল থেকে সকাল সাতটায় একটি ট্রেন ছাড়লে বহু মানুষ ঢাকায় অফিস ধরতে পারবেন। আবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা বা সাতটায় ঢাকা থেকে সেটি ছাড়লে মানুষ অনায়াসে টাঙ্গাইলে ফিরতে পারবেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতিপূর্বে এ ট্রেন চালু করার চেষ্টা কযয়েকবার করা হলেও সেটা সম্ভব হয়নি। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, সমস্ত বাধা দূরে ঠেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল ট্রেনসেবা চালু করা হোক। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে টাঙ্গাইলকে সমৃদ্ধ করতে প্রতিটি ভালোকাজে টাঙ্গাইলবাসী ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।