তরিকুল ইসলাম আর নেই
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
প্রবীণ রাজনীতিক, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
রবিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এদিকে বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে ও শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দলের পক্ষ থেকে শোক বিবৃতি দিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতাসহ নানা দুরাগ্যে রোগে ভুগছিলেন।
এর আগে গেল ১৪ অক্টোবর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক তথ্যমন্ত্রী তরিকুল ইসলামকে রাজধানীর অ্যাপেলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরই তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। গত দেড় মাসেরও বেশি সময় তিনি অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তরিকুল ইসলাম ১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আলহাজ্জ্ব আব্দুল আজিজ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। মাতা মোসাম্মৎ নূরজাহান বেগম ছিলেন একজন গৃহিণী।
তরিকুল ইসলাম দুই পুত্র সন্তানের জনক। স্ত্রী নারর্গিস ইসলাম তার অন্যতম রাজনৈতিক সহযোদ্ধা। তিনি যশোর সরকারি সিটি কলেজে বাংলা বিভাগের উপাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় জনাব ইসলামের বাল্যশিক্ষা শুরু হয়। অতঃপর ১৯৫৩ সালে তিনি যশোর জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। একটানা ৮ বছর শিক্ষা গ্রহণের পর ১৯৬১ সালে তিনি এই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৩ সালে তিনি যশোর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় থেকে আই.এ. এবং ১৯৬৮ সালে একই কলেজ থেকে তিনি অর্থনীতিতে বি.এ. (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অর্থনীতিতে এম. এ ডিগ্রি লাভ করেন।
তরিকুল ইসলাম চার দলীয় জোট সরকারের তথ্য ও পরিবেশমন্ত্রী ছিলেন। তিনি স্থায়ী কমিটির আগে দলের সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে অর্থাৎ ছাত্র জীবনে বাম প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। জিয়াউর রহমানের সময়ে বিএনপিতে যোগ দেন মওলানা ভাসানীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত জনপ্রিয় এই নেতা।